Type to search

ইউএনও’র সাথে খারাপ আচারণ করায় উপজেলা চেয়ারম্যান বরখাস্ত

জাতীয়

ইউএনও’র সাথে খারাপ আচারণ করায় উপজেলা চেয়ারম্যান বরখাস্ত

অপরাজেয় বাংলা ডেক্স: লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েসকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার (৩০ নভেম্বর) বিকালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নুমেরী জামান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮ এর ১৩(খ)(১) ধারা অনুসারে আদিতমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফারুক ইমরুল কায়েসকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। বর্ণিত পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ কে উক্তি উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পরিষদের আর্থিক ক্ষমতা প্রদান করা হলো। এ আদেশ জনস্বার্থে জারি করা হলো এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ‘যেহেতু আদিতমারী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস একই উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিনের সঙ্গে অসদাচরণ ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি প্রদান করেছেন, তার এ পদে বহাল থেকে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা রাষ্ট্র বা পরিষদের স্বার্থের পরিপন্থী। সেহেতু সরকার জনস্বার্থে তাকে তার স্বীয় পদ হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।’

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর আদিতমারী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েসকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার চিঠি পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এ প্রজ্ঞাপনের আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।’

জানতে চাইলে আদিতমারী উপজেলা পরিষদের সদ্য বরখাস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস বলেন, ‘ইউএনও-ই আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন। এ উপজেলায় যোগদানের পর থেকে প্রত্যেকটি দফতরকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছেন এবং তাদের অভিযোগের প্রক্ষিতে সঠিক কোনও তদন্ত না করেই বিপুল ভোটে নির্বাচিত একজন জনপ্রতিনিধিকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’ এ বিষয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত ১২ নভেম্বর আদিতমারী উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় উন্নয়ন সভার হট্টোগোলকে কেন্দ্র করে বিকালে আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিনসহ উপজেলার অন্যান্য ১৭ দফতরের কর্মকর্তারা একযোগে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বরাবর উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েসের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে ১৫ নভেম্বর ইউএনও বাদী হয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকি প্রদানের অভিযোগে জিডি করেন। উপজেলা পরিষদের ১৯টি চেকের পাতা ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় একই দিনে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আরও একটি জিডি করা হয়।

সুত্র: বাংলা ট্রিবিউন