Type to search

অভয়নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগ

অন্যান্য

অভয়নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগ

স্বাস্থ্য কমকর্তা বললেন দরপত্রে অনিয়ম হয়নি, সমঝোতা হয়েছে।

স্টাফ রিপোর্টার: যশোরের অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছয় গু-রুপের দরপত্রে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দরপত্রে অনিয়মের সাথে উপজেলা স্বাস্থ্যকর্মকর্তা সরসরি জড়িত রয়েছেন।
গত ৩০ জানুয়ারী ছিল দরপত্র গ্রহনের শেষ দিন। দরপত্র দাখিল করা ঠিকাদারদের অভিযোগ দাখিলকৃত দরপত্র ফেলে দেয়া হয়েছে। আবার অনেক ঠিকাদারকে দরপত্র দাখিলে বাধা দেয়া হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানা গেছে, অভয়নগর উপজেলার ঔষধসহ বিভিন্ন মালামাল ক্রয়ের জন্য ছয় গ্রæপের দরপত্র আহবান করা হয়। যার স্মাারক নম্বর অভয়নগর/২০২১-২২/১৬ তারিখ ৫/১২২। ছয় গ্রæপের দরপত্রের মধ্যে মেডিসিন, এমএসআর ইকুপমেন্ট, ক্যামিকাল রি এজেন্ট, ফার্নিচার, গজ ব্যান্ডেজ,কটন, লাইনার। গত ২৬/১/২২ তারিখ ছিল দরপত্র ক্রয়ের শেষ দিন। উক্ত সময়ে ঠিকাদাররা ছয় গ্রæপের ৬২ টি দরপত্র ক্রয় করেন। ছয় গ্রæপের বিপরিতে প্রতি গ্রæপে ২ টি করে ১২ টি দরপত্র দাখিল দেখানো হয়েছে। দরপত্র গ্রহনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রে দরপত্র গ্রহনের বাক্স রাখা হয়। অনেকে দরপত্র স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে দাখিল করতে গেলে দাখিল করতে পারেনি। আবার অনেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে দাখিল করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে দাখিল করা দরপত্র বাক্সধরেই স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখান থেকে দরপত্র ফেলে দেয়া হয় বলে ঠিকাদারদের অভিযোগ।
মেসার্স মমতাজ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক টি এম ফারুক আব্দুল্যা বলেন‘ আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে দরপত্র দাখিল করেছিলাম। পরে জেনেছি আমার দরপত্র ফেলে দেয়া হয়েছে। নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে ভিডিওি ফুটেজ দেখলে বুঝা যাবে আমি কখন দরপত্র দাখিল করেছি।
লাকী মেডিসিন সাপ্লাই এর প্রতিনিধি ফকির আব্দুর গফুর বলেন আমি উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে দরপত্র দাখিল করতে গেলে আমাকে বাধা দেয়া হয়। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে গেলে বাধা দেয়া হলে পুলিশকে জানাই। পুলিশও কোন ভুমিকা নেয়নি। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালক বরাবর অভিযোগ করেছেন বলেও তিনি জানান।
উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের আবাসিক কর্মকর্তা ডাক্তার আলীমুর রাজীব বলেন “টেন্ডারে অনিয়মের বিষয়ে আমার জানা নেই। আমি দরপত্র খোলার সময় উপস্থিত ছিলাম।”
টেন্ডার আহবানকারী উপজেলা স্বাস্থ্যকর্মকর্তা মো: অহিদুজ্জামান টেন্ডার ফেলে দেয়ার কথা অস্বীকার করেন। তবে সমঝোতা হয়েছে বলে জানান। সমঝোতা হলে দরপত্র বাতিল হওয়ার বিধান আছে কিনা তার কোন সদুত্তর তিনি দিতে পারেনি।
যশোরের সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস “টেন্ডারের অনিয়ম হয়েছে কিনা জানিনা। টেন্ডারের অভিযোগ হয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।