Type to search

অভয়নগরে কেঁচো সার প্রকল্পের সফল উদ্যোক্তা রনি অভয়নগর

অভয়নগর

অভয়নগরে কেঁচো সার প্রকল্পের সফল উদ্যোক্তা রনি অভয়নগর

এইচ.এম.জুয়েল রানা
যশোরের অভয়নগর উপজেলার কাপাশহাটি গ্রামে ভার্মি কম্পোষ্ট (কেঁচো সার) প্রকল্পে সাফল্য পেয়েছেন স্থানীয় অনলাইনে ছাদ বাগানের অর্গানীক পন্য সামগ্রী বিক্রেতা কৃষক কাজী ইস্তিয়াক আহমেদ রণি। যার ফেসবুক আইডির নাম  Rony Avaynagar
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সামদানী শনিবার সকাল ১১.০০টার সময় কাপাশহাটি গ্রামে একটি কেঁঁচোসার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
কেঁচো প্রকল্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আধুনিক কৃষক ,উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এনামুল হক বাবুল বলেন, আমি খুবই আশাবাদী প্রতিটি স্তরের কৃষক ও বেকার যুবকরা যদি এ ধরনের প্রকল্পে নিজেদের নিয়োজিত করে তাহলে ক্ষতিকর রাসায়নিক সারের প্রভাব থেকে মাটি ও মানুষ রক্ষা পাবে, বেকারত্ব দূর হবে এবং প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে।
গ্রামের কৃষক জমশের আলী বলেন, রাসায়নিক সারের অর্ধেক মূল্যেরও কম দিয়ে কেঁচো সার ব্যবহার করে ধানসহ বিভিন্ন খাদ্য শস্যের কয়েকগুন বেশি ফলন পেয়েছি।
কৃিষ উদ্যক্তা কাজী ইস্তিয়াক আহমেদ রনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে এ কেঁচো সারের প্রসার ও প্রচার নিয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করছি এবং নিজেও তা করে জীবন নির্বাহ করছি। তিনি আরও বলেন, শুধু সারই নয় থাইল্যান্ডের উন্নতমানের কেঁচোও বিক্রি করছি।
কৃষিবিদ গোলাম সামদানী বলেন এই উপজেলাসহ বাংলাদেশের প্রত্যেকটি স্থানে বেকার যুবক-যুবতীরা কম বিনিয়োগে ইস্তিয়াক আহমেদের মত স্বাবলম্বী হতে পারেন। এই প্রকল্পে ঝুঁকি ও পরিশ্রম দু’টিই কম। সারাদেশে কেঁচো সারের ব্যাপক চাহিদা থাকায় বিভিন্ন স্তরের কৃষকরা এই প্রকল্পে নিজেদের নিয়োগ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। তিনি আরও বলেন ১৬/৪ ফুট একটি হাউজে গ্যাসমুক্ত এক টন গোবর ও তিন কেজি কেঁচো থাকলে প্রতি ১৫ দিনে ৭শত কেজি কেঁচো সার উৎপাদন হয় যা প্রতি কেজি পনেরো টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। শুধু ফসলই নয় এই সার ঘের-পুকুরে ব্যবহার করলে মাছের উৎপাদন দ্বিগুন হয়।বর্তমানে ঢাকা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার ছাদ বাগানের সবজি চাষে ব্যবহার হচ্ছে কেঁচো সার