Type to search

চুয়াডাঙ্গায় দুর্গোৎসবে মেতেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা

জেলার সংবাদ

চুয়াডাঙ্গায় দুর্গোৎসবে মেতেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা

চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু, চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা
ধূপ-আগরবাতির গন্ধে মোহিত করে তুলেছে পূজার আঙিনা। বর্ণিল সাজসজ্জা, হইচই আর মহা ধুমধামের যেন শেষ নেই।  সকালেই ষষ্ঠী পুজোর (বোধনের) মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গোৎসব। পাঁচ দিনব্যাপী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান এই ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে চুয়াডাঙ্গা জেলায় এখন সাজসাজ রব। কেনাকাটার পর্ব শেষ। এখন অসাম্প্রদায়িক চেতনায় গোটা বাঙালি সামিল হবে এ উৎসব উদযাপনে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মহাসপ্তমী।
এ বছর চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১শ’ ৪টি মন্ডপে দুর্গাপূজোর আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার সায়ংকালের বোধনের মধ্য দিয়ে দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গাকে মর্ত্যলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ উপলক্ষে জেলার প্রতিটি পূজামন্ডপে ষষ্ঠী পূজার আয়োজন করা হয়েছে। আজ দেবী দূর্গার বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা।
চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার শ্রী শ্রী সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের সভাপতি সুরেশ কুমার সাহা ও সাধারণ সম্পাদক কিংকর কুমার দে বলেন, দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসবই নয়, এটি আজ সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের আর ৪টি উৎসবের মতো হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দূর্গোৎসব একটি বৃহৎ উৎসব। সেখানে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের আগমন ঘটে।
উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দূর্গোৎসবের প্রস্তুতি। এবার দেবীর আগমন দোলায়, গমন ঘোটকে। বাঙালীর দুয়ারে কড়া নাড়তে শুরু করে শারদীয় দুর্গোৎসব। হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ-শিশু-কিশোরদের প্রাণে এখন দুর্গোৎসবের আনন্দ শিহরণ। গতকাল বুধবার ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ ও মহাষষ্ঠী বিহিত পূজা ও সায়ংকালে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস, ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মহাসপ্তমী বিহিত পুজো, দেবীর নব পত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন, সপ্তমাদি কল্পারম্ভ ও মহাসপ্তমী বিহিত পূজা। ১১ অক্টোবর শুক্রবার মহাষ্টমী, কুমারী ও সন্ধিপূজা, ১২ অক্টোবর শনিবার মহানবমী ও ১৩ অক্টোবর রবিবার বিজয়া দশমী বিহিত পূজার মধ্যে দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে।