অভয়নগরে গৃহবধূ আজমিরা আত্মহত্যা করেনি ; বালিশ চঁপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ

নওয়াপাড়া অফিস
যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় গৃহবধূ আজমিরা খাতুন(২৬)কে নির্যাতনের পর হত্যা করে লাশ ঝুঁলিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার দুই সপ্তাহ পর নিহতের মাতা মেহেরুন্নেছা বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ১৫০/২৩ তারিখ ১৬/০৮/২৩।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, অভয়নগর উপজেলার দিয়াপাড়া গ্রামের জাহিদুল ইসলাম তার স্ত্রী আজমিরা খাতুন (২৬) কে গত ২৮ জুলাই সন্ধ্যায় আজমিরা খাতুনকে নির্যাতন করে হত্যা করে লাশ ঘরের আড়ায় ঝুলিয়ে রাখে। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়। পুলিশ উপজেলার দেয়াপাড়া গ্রামে আজমিরার শ^শুর জব্বার মোল্লার বাড়ি থেকে শোয়ার ঘর থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, আজমিরার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, গলায় ফাঁসের দাগ নেই। তার গায়ে কাদা মাটি মাখা অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। স্বামী জাহিদুল আজমিরার বাবাকে ভুল বুঝিয়ে একটি কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। তাকে থানায় যেতে নিষেধ করে। পরে সে স্বাক্ষর করা কাগজ থানায় জমা দিলে অপমৃত্যুর মামলা মুলে পুলিশ সুরতহাল ও ময়লা তদন্তের শেষে লাশ বাদীর স্বামীর নিকট হস্তান্তর করেন। ওই দিন বাদী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
মামলার বাদী মেহেরুননেছা বলেন, আমার মেয়ে আজমিরা তার স্বামী জাহিদুল ইসলাম তাকে আমার স্বামী কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক আনার দাবি করে আসছিল। যৌতুকের টাকা আনতে অস্বীকার করায় ামিার মেয়ে কে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। এবং লাশ নিয়ে নাটক করতে থাকে। স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে থানার পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। তিনি আরো বলেন, আমার মেয়ে নিহত হওয়ার আগে তার স্বামী নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মেয়ে আমাদের বাড়িতে আসে। আমরা বুঝিয়ে এলাকার গনমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে ঐদিন আবার স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হয়। যাওয়ার ২ঘন্টা পরে তাকে নির্যাতন করে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
আজমিরার পিতা শামসুল রহমান বলেন, প্রতিনিয়ত জামাই আমাদের কাছে থেকে যৌতুকের জন্য পর্যায়ক্রমে ৩৫ হাজার টাকা, ৪০ হাজার টাকা, ইট ও টিন বাবদ ৬০ হাজার টাকা, নাতি মাওয়া জন্ম গ্রহণের সময়ে ২৬ হাজার টাকা, তার ঘরের আসবাবপত্র কিনতে ৩০ হাজার টাকা নিয়েছে।
পাথালিয়া পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক এসআই শামসুর রহমান জানান, নিহতের মা আদালতে মামলা দায়ের করেছে আমার জানা নেই। তবে ওই সময় লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মিলন কুমার মন্ডল জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলেই বোঝা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা। নিহতের মা মেহেরুননেছা আদালতে দায়ের করা মামলার তদন্ত চলছে।