Type to search

পত্রালাপ

সাহিত্য

পত্রালাপ

বিলাল মাহিনী
প্রিয়,
ভালোবাসার নির্যাসটুকু তোমায় সঁপে দিয়ে হৃদয়ের জমানো কথাগুলো কালো রঙে আঁকছি।
নিজেকে স্বহস্তে উপহার দেয়ার পর
এখন মনে হয়, ভুলের প্রাসাদ চূড়ায় আরোহন করেছি।
আমার অস্তিত্বদের যখন তোমার মাঝে খুঁজে ফিরি, তখন মনে হয়- ইচ্ছের দাস হয়ে বেঁচে আছি!
সেই দূরন্তপনা, অচেনার পানে ছুটে চলা,
চাঁদের অমাবস্যা দেখা, সমুদ্রের মরু প্রান্তর ছোঁয়া,
বৃক্ষের হলুদ পাতা ঝরা মর্মর শব্দ; কিছুই ভালো লাগে না।
এখন নিদ্রার মাঝেও চোখ খোলা থাকে। অশ্রুরা বাধভাঙ্গা জোয়ারের মতো অতীত ধুয়েমুছে দেয়।
খেলাঘর, নাচঘর, মঞ্চনাটক, জারি-যাত্রাপালা, মুর্শিদী, ভাব-কবিগানে নেই সেই টান।
দুমুঠো খাবার জুটোতে সময়ের স্রোতে ভেসে থাকতে থাকতে বিনোদনের কিনারা খুঁজে পাওয়া ভার!
এখন আসমানের নীল আর শুভ্রতা টানে
ভাটাও টানে, টানে গোধুলিও।
একগুঁয়ে আলসেমিতে ধরেছে,
এখন বৃষ্টিহীন বর্ষাকালে ভিজাই বেহুদা রাত আর নক্ষত্রের কান্না।
সাদাকালো মেঘের খুনসুটি মন ভরে দেখি।
নিজের নগ্ন অতীত ঢাকতে নিজেকেই নিষিদ্ধ করি, বাজেয়াপ্ত করি ভুল ভালোবাসাগুলো।
সবাই যখন সফল মানুষ আর ক্ষমতা অন্বেষণে ব্যস্ত, বেচারা আমি তখন বোকাদের সরদার  বনে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় মত্ত।
এতোকিছুর পরও প্রেম-প্রলোভনের ফাঁদে পড়ি বারবার।
এখন স্মৃতিগুলো মেলে ধরি হৃদয়ের উঠোনে,
শরতের ঝাঁঝানো রোদে শুকোবো বলে।
আসলে, কেউ ফিরে আসে না
শুধু স্মৃতির মেঘমালা সাঁতার কাটে বেলা-অবেলায়, নিদ্রা জাগরণে- আমার হৃদাকাশে।