দেশে বিদ্যুৎ ঘাটতি দুই হাজার মেগাওয়াটের বেশি

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্র বলছে, জ্বালানির (গ্যাস, ফার্নেস অয়েল ও ডিজেল) অভাবে গতকালও ৫ হাজার ২৫৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়নি। এ ছাড়া কারিগরি কারণে আরও দুটি কেন্দ্রে ৮০৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না। গতকাল সন্ধ্যা সাতটায় সর্বোচ্চ উৎপাদিত হয়েছে ১১ হাজার ৮৩৯ মেগাওয়াট। তখন চাহিদা ছিল ১৩ হাজার ৯৬৫ মেগাওয়াট। ঘাটতি হয়েছে ১ হাজার ৭১৮ মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গতকাল রাতে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকার কোথাও দুই ঘণ্টা এবং ঢাকার বাইরে কোথাও কোথাও চার ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিংয়ের তথ্য আসছে। এর কারিগরি কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এক সপ্তাহ পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ঢাকার বাইরে বিদ্যুতের পরিস্থিতি বেশ খারাপ। এসব এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলো বলছে, চাহিদার চেয়ে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ কম। এমন পরিস্থিতিতে লোডশেডিংয়ের রুটিন মানা সম্ভব নয়। সরকারের ঘোষণা থাকায় বাধ্য হয়ে তাঁরা রুটিন প্রকাশ করেছেন।