Type to search

কেশবপুরের স্থগিত হওয়া কেন্দ্রে সন্ত্রাসীরা ভোট দিতে বাঁধা দিয়েছে

কেশবপুর

কেশবপুরের স্থগিত হওয়া কেন্দ্রে সন্ত্রাসীরা ভোট দিতে বাঁধা দিয়েছে

জাহিদ আবেদীন বাবু, কেশবপুর (যশোর) থেকে:
ভোট দিতেও সংগ্রাম করতে হয় এমন দৃশ্য দেখল যশোরের কেশবপুর ৬ নং ইউনিয়নের ভোটাররা। এ ইউনিয়নের নির্বাচনে ১ নং ওয়ার্ডের দোরমুটিয়া ও ২ নং নতুন মূল গ্রাম, ৩ মূলগ্রাম ওয়ার্ড সহ ঐ ইউনিয়নের ভোটাররা । ভোটের দিন ০৫ জানুয়ারী২০২২ তারিখে ভোরে মসজিদে ফরজ নামাজ পড়ে বের হয়ে দেখে দোরমুটিয়া মোড়ে লোহার রড, লাঠি হাতে
সন্ত্রাসীরা ভোট কক্ষে ঢুকে ব্যালট   েপপার ছিনিয়ে নিয়ে ভোট কাটতে থাকে
অপরিচিত কিছু মানুষ। ভয়ে ভীতু ভোটাররা সাহায্যের জন্য দারস্থ হন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর। খবর পেয়ে যথারীতি ঐ মোড়ে উপস্থিত হন কিছু আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্য। ফলে ভোটারদের মধ্যে একটু সাহস ও আসা জাগে। একটু পরেই সেই আসা ভঙ্গ হয় ভোটারদের। ভোটাররা অবাক চোখে দেখে কেশবপুর থানার বিতর্কিত এক এস আই এর নেতৃত্ব কিছু পুলিশ ভোটারদের পাশে না দাঁড়িয়ে মোড়ে থাকা অপরিচিতদের সাথে যোগ দিয়ে ভোটারদের উপর চড়াও হচ্ছে। এই অবস্থা দেখে ভোটাররা ক্ষোভ প্রকাশ শুরু করলে পুলিশ ও ঐ অপরিচিত লোকজন ভোটারদের মারপিট শুরু করে ভোট কেন্দ্রে যেতে বাঁধা দেয়। এ সময় মেম্বার প্রার্থী কামাল উদ্দিনকে মারপিট করতে থাকলে তার স্ত্রী, বৃদ্ধা মা, সন্তানসহ জনগণ ঠেকাতে গেলে তাদেরকেও মারপিট করা হয়। এ সময় পুলিশের মারপিটে মেম্বার প্রার্থী কামাল উদ্দিন ও তার স্ত্রী, বৃদ্ধা মা, সন্তান সংরক্ষিত আসনের প্রাথী রাশিদাসহ কয়েকজন নারী আহত হন। পুলিশ ও  অপরিচিত লোকদের মারপিটে দিশেহারা যখন ভোটাররা তখন মহিলা ভোটাররা ঝাটা হাতে বেরিয়ে আসে। এ বেগতিক অবস্থা দেখে পুলিশ ও অপরিচিতরা পিছু হটে। এসব ঘটনা ঘন্টা খানিক চলার পর ঐ কেন্দ্রের ভোটাররা ভোট দেয়ায় অধিকার । একই অবস্থা হয় ২ নং নতুন মূলগ্রাম ওয়ার্ডের ভোটারদের। তবে এ ওয়ার্ডের ভোটাররা ভোট দেয়ার অধিকার পায়নি। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সামনেই বহিরাগত কিছু লোকজন কেন্দ্রে প্রবেশ করে গনহারে নৌকার সীল মারে। এ ভাবে ভোট কাটার প্রতিবাদে শতশত লোক বিক্ষোভ করতে থাকলে প্রশাসন ঐ কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করে। এছাড়া ঐ ইউনিয়নের মধ্যকূল, আলতাপোল কেন্দ্রে বহিরাগতরা প্রবেশ করে নৌকায় সীল মারাসহ আরো ৩ টি কেন্দ্রে প্রকাশে নৌকায় সীল মারতে ভোটারদের বাধ্য করা হয়েছে বলে ৩ বার বিপুল ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবার স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যাপক আলাউদ্দিন অভিযোগ করেছেন।  এ ব্যাপারে মেম্বার প্রার্থী কামাল উদ্দিন বলেন, বহিরাগত সন্রাসী ও পুলিশ তাকে সহ তার ভোটারদের মারপিট করে আহত করেছে এবং ভোট কেন্দ্রে যেতে বাঁধা সৃষ্টি করে।
এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনার বজলুর রশিদ বলেন, বহিরাগতরা ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করে জোর পূর্বক ব্যালট পেপারে সীল দেয়ায় নতুন মূলগ্রাম কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়েছে।