Type to search

প্রায় দেড়শ কোটি টাকা খরচের পর বিআইডব্লিউটিএ জানায় ফেরি চলানো সম্ভব না!

জেলার সংবাদ

প্রায় দেড়শ কোটি টাকা খরচের পর বিআইডব্লিউটিএ জানায় ফেরি চলানো সম্ভব না!

অপরাজেয়বাংলা ডেক্স: প্রায় দেড়শ কোটি টাকা ব্যয়ের পর বিআইডব্লিউটিএর কারিগরি কমিটি বুঝতে পেরেছে, জামালপুরের বাহাদুরাবাদ ও গাইবন্ধার বালাসী নৌরুটে নাব্য সংকটে ফেরি চলানো সম্ভব না।

ঢাকার সাথে দেশের উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগে ১৯৩৮ সালে জামালপুরের বাহাদুরাবাদঘাট এবং গাইবান্ধার ফুলছড়ির তিস্তামুখ ঘাটে যমুনা নদীতে রেল ফেরি সার্ভিস চালু করে ব্রিটিশ সরকার। ফেরিতে রেল পারাপারের জন্য ভারতসহ বিভিন্ন দেশে সুপরিচিত ছিলো এই নৌপথ।

স্বল্প সময় ও অল্প খরচে পণ্য ও যাত্রী পারাপার করা হতো। এই ঘাটকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিলো হাজারো মানুষের জীবিকা। কিন্তু ২০০১ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালুর পর বন্ধ হয়ে যায় ফেরি চলাচল।

বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর চাপ কমাতে ২০১৭ সালে আবারো বাহাদুরাবাদ-বালাসী ঘাটে ফেরি চালুর উদ্যোগ নেয় বিআইডব্লিউটিএ। দুই দফা বাড়িয়ে প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয় ১শ’ ৪৫ কোটি টাকা। ১শ’ ৩৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ফেরির রুট খনন এবং ঘাটের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ হয় গেল ৩০শে জুন। কিন্তু নাব্য সংকট থাকায় এই রুটে ফেরি চালানো সম্ভব নয় বলে জানায় বিআইডব্লিউটিএ’র কারিগরি কমিটি।

তাহলে ঘাটের দুই প্রান্তে কেন অবকাঠামো নির্মাণ করা হলো, আর নদী খননইবা কেন করা হলো এমন প্রশ্ন স্থানীয়দের। করছেন অনিয়মের অভিযোগও। স্থানীয়দের অভিযোগ, নানা অনিয়মের পাশাপাশি অপরিকল্পিত ড্রেজিংয়ের কারণে বিভিন্ন স্থানে চর জাগছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ জানান, ফেরি চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে না। দুই ঘাটের দূরত্ব কমিয়ে আনতে নদীর বিকল্প লিংক ব্যবহারের বিষয় বিবেচনা করা হচ্ছে।

এ অবস্থায় প্রায় দেড়শ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ঘাটের দুই  প্রান্তের স্থাপনার ভবিষ্যত নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।সূত্র,ডিবিসি নিউজ