Type to search

সাফল্যের ধারা অব্যহত রেখেছে চৌগাছা সরকারি শাহাদৎ পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়

শিক্ষা

সাফল্যের ধারা অব্যহত রেখেছে চৌগাছা সরকারি শাহাদৎ পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়

সাফল্যের ধারা অব্যহত রেখেছে চৌগাছা সরকারি শাহাদৎ পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়

শ্যামল দত্ত চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধিঃ

এস.এস.সি পরীক্ষার ফলাফলে সাফল্যের ধারা অব্যহত ধরে রেখেছে যশোরের চৌগাছা সরকারি শাহাদৎ পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়। শুক্রবার (২৮ জুলাই) দুপুরে এ স্কুলে ছিল উচ্ছ্বাস। ছিল মিষ্টি বিতরণের ধুম। কাঙ্খিত ফলাফল অর্জনের পর অনেকের চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ে আনন্দাশ্রু।   এমন অসাধারণ কৃতিত্বে এ স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মাঝেও বইছে আনন্দের বন্যা।চৌগাছা সরকারি শাহাদৎ পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৭৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৭১ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৪ জন শিক্ষার্থী।পাসের হার ৯৮.৮৪।  প্রতিবারের মত এবারো ভাল ফলাফল করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তারা নিজেদের সাফল্যের ধারা অব্যহত রেখেছে। শুক্রবার (২৮ জুলাই) অনলাইনে এসএসসির ফলাফল ঘোষণার পর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক আজিজুর রহমান।  প্রতিষ্ঠানটির ধারাবাহিক সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইরুফা সুলতানা সহ শিক্ষকমন্ডলী,অভিভাবকবৃন্দ, শিক্ষার্থী ও সুধীজনেরা। । এরআগে ২০২২ সালে শতভাগ পাসসহ  ১১৫ জন জিপিএ-৫ পেয়ে চৌগাছা উপজেলার সেরা  সেরা ফলাফল অর্জন করেছিল এই প্রতিষ্ঠানটি। বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯২৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে  জেএসসি ও এসএসসিতে টানা শতভাগ পাসসহ ফলাফলের ভিত্তিতে প্রায় প্রতিবছরই  উপজেলার সেরার স্থান দখল করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১১১ জন ও মানবিক শাখা ৪৯ জন, ব্যবসায় শিক্ষা থেকে ১১ জন মোট ১৭৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ১৭১ পাসসহ ৮৪ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছে। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থী এম এম সিফাতুল ইসলাম ও ফারিহা জাহান জানায়, ‘মহামারি করোনার জন্য আমাদের সবাই অটোপাস বলে অপবাদ দিতো। আশা করছি এইবার আমাদের উপজেলা সেরা ফলাফলে সেই অপবাদ মুছে যাবে। এই ফলাফলের জন্য আমাদের বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম, সঠিক দিক-নির্দেশনা, নিয়মিত ক্লাস, বিশেষ ক্লাস, গাইড টিচারের মাধ্যমে নিয়মিত হোম ভিজিট, টিউটেরিয়াল ও মাসিক পরীক্ষার কারণেই এ ভালো ফলাফল সম্ভব হয়েছে।’ প্রধান শিক্ষক আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বরাবরই ভালো ফলাফল করছে। এবার শতভাগ পাসসহ উপজেলার সেরা ফলাফলের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে। সারা উপজেলার সার্বিক ফলাফল বিশ্লেষণ করলে আশা করছি আমরা উপজেলার সেরা অবস্থানে থাকব। আমি সবসময় চেয়েছি সুশিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মানব সম্পদে পরিনত হউক। যাতে আমাদের সমাজে সার্টিফিকেটধারি শিক্ষিত বেকার তৈরি না হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজকের এই সাফল্য শুধু এই প্রতিষ্ঠানের একার না। এই সাফল্য পুরো চৌগাছাবাসীর।  মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করনে সাধ্যমত কাজ করে যাচ্ছি।’ ‘একটি বিদ্যালয়ের ভাল ফলাফলের মূল মন্ত্র হচ্ছে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবদের মধ্যে সমন্বয়।  স্যারের ইনোভেটিভ চিন্তা-চেতনা, সময়োপযোগী সঠিক দিক নির্দেশনায় আমাদের এই ফলাফল অব্যাহত আছে। স্যারই প্রথম করোনার সময়ে ভ্রাম্যমাণ পাঠদানের প্রবর্তন করেন। এবছরের শিক্ষার্থীরা যেহেতু করোনা মহামারির সময়ে পড়াশোনা থেকে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিল। তাদেরকে নিয়ে আমাদের শিক্ষকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে।’