Type to search

মুসলিমা খাতুন হত্যার মূলরহস্য উদঘাটন, আসামী গ্রেফতার ও বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৬

অপরাধ

মুসলিমা খাতুন হত্যার মূলরহস্য উদঘাটন, আসামী গ্রেফতার ও বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৬

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

লোমহর্ষক চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যার মূলরহস্য উদঘাটন, আসামী গ্রেফতার ও বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৬

র‌্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র‌্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

গত ইং ২৫/০১/২০২২ তারিখ বিকালে ভিকটিম মুসলিমা খাতুন তার নিজ বাড়ি হতে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। একই তারিখ রাতে ভিকটিমের মোবাইল থেকে তার বোনের মোবাইলে একটি ম্যাসেস পাঠায় যে, কতিপয় ব্যক্তিরা তাকে অজ্ঞাতস্থানে একটি বাগানে আটক করে রেখেছে। তারপর থেকে ভিকটিমের বোন ভিকটিমের আর কোন খোঁজখবর পায় নাই। পরবর্তীতে ভিকটিমের বোন খুলনা জেলার ফুলতলা থানাধীন উত্তরদিহি মধ্যপাড়া সাকিনে শেখ মনির মেম্বারের বাড়ির পাশে ধানক্ষেতে একটি গলাকাটা নারীর বিবস্ত্র মৃতদেহ পড়ে আছে বলে জানতে পারে। ভিকটিমের বোন আকলিমা বেগম ঘটনাস্থলে গিয়ে উক্ত লাশ তার বোন মুসলিমা খাতুনের লাশ বলে শনাক্ত করে। এ বিষয়ে ভিকটিমের বোন ফুলতলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। উক্ত হত্যাকান্ড ঘটানোর পর থেকেই র‌্যাব-৬ ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন, অপরাধীদের শনাক্ত, বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার ও জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখে।

এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-৬, (সিপিসি-৩, যশোর এবং স্পেশাল কোম্পানি) এর দুইটি চৌকস আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২৯ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মূল আসামী ১। মোঃ রিয়াজ খন্দকার (২২) পিতা-মোশারফ খন্দকার, মাতা-অঞ্জিরা বেগম, সাং-যুগ্নিপাশা, থানা-ফুলতলা, জেলা-খুলনাকে ফরিদপুর জেলার সদর থানাধীন মালাঙ্গা সাকিনস্থ কানাইপুর বাজার হতে এবং ২। মোঃ ইমন সরদার ওরফে সোহেল (২০) পিতা-শীলন সরদার, মাতা-নুরজাহান বেগম, সাং-যুগ্নিপাশা, থানা-ফুলতলা, জেলা-খুলনাকে তার নিজ বাড়ি হতে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা জানায় তারা দুইজনেই পরিকল্পিত ভাবে ভিকটিম মুসলিমা খাতুনকে ধর্ষণ করে। অতঃপর গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। আলামত গোপন করার জন্য ধারালো বটি দিয়ে ভিকটিমের দেহ হতে মাথা বিচ্ছিন্ন করে। দেহ ধানক্ষেতের মধ্যে ফেলে রাখে। মৃত মুসলিমার পরিধেয় বস্ত্রাদি দিয়ে তার খন্ডিত মাথাটি পেচিয়ে পার্শ্ববর্তী নির্মানাধীন একতলা বিল্ডিং এর বাথরুমে বালুর নিচে পুতে রাখে বলে জানায়। আসামীদের দেয়া তথ্য মতে উক্ত স্থান হতে ভিকটিমের মাথা ও পরিহিত বস্ত্রাদি উদ্ধার এবং আসামী রিয়াজের বাড়ি থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বটি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে ও উদ্ধারকৃত আলামত খুলনা জেলার ফুলতলা থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।