মসজিদের সিন্দুকে পাওয়া গেল ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা


টাকা গণনাকাজ তদারকি করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা ইয়াসমিন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলহাস হোসেন, মো. ইব্রাহীম, মাহামুদুল হাসান, মো. উবায়দুর রহমান, শফিকুল ইসলাম, অর্ণব দত্ত ও পাগলা মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত উদ্দিন ভূঞাসহ পাগলা মসজিদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ মসজিদটির দানসিন্দুকগুলোতে নগদ টাকাপয়সা ছাড়াও স্বর্ণালংকার দান করেন। কথিত আছে, খাস নিয়তে এই মসজিদে দান করলে মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়। সে জন্য জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে দূরদূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ পাগলা মসজিদে দান করতে আসেন।

এমনই একজন সজনী রানী দাস (৪০)। অসুস্থ মেয়ে পূজা রানী দাসকে (১২) নিয়ে আজ দুপুরে নেত্রকোনা থেকে পাগলা মসজিদে দান করতে এসেছিলেন তিনি। মেয়ের অসুস্থতা থেকে মুক্তির জন্য মা-মেয়ে পাগলা মসজিদে টাকা মানত করেছেন। সজনী রানী দাস প্রথম আলোকে বলেন, মনের আশা পূরণের জন্য তাঁরা প্রায়ই পাগলা মসজিদে দান-খয়রাত করতে আসেন। গতকাল তাঁর মেয়ে স্বপ্ন দেখেছে, পাগলা মসজিদে মোমবাতি আর টাকা দান করছে। তাই আজ তাঁরা মোমবাতি আর টাকা নিয়ে মসজিদে ছুটে এসেছেন।
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে এ মসজিদের অবস্থান। দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত মসজিদটিকে পাগলা মসজিদ ইসলামি কমপ্লেক্স নামকরণ করা হয়েছে। এ মসজিদের আয় দিয়ে কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া মসজিদের আয় থেকে বিভিন্ন সেবামূলক খাতসহ জটিল রোগীদের চিকিৎসায় এর অর্থ ব্যয় করা হয়। এবার মসজিদের আয় দিয়ে কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জাম কিনে দেওয়া হয়।

পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, এবার গণনা শেষে যে ২ কোটি ৩৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭৯ টাকা পাওয়া গেছে, তা রূপালী ব্যাংকে জমা করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের মুদ্রাসহ বেশ কিছু অলংকার পাগলা মসজিদের দানসিন্দুকে জমা পড়েছে। এখানে শতকোটি টাকার বেশি অর্থ দিয়ে বড় আকারের একটি কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে।
সূত্র: প্রথম আলো