‘বিশ্বমানে রূপান্তরিত হবে জাতীয় চিড়িয়াখানা’

সম্প্রতি মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা হয় মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের।
তিনি বলেন, চিড়িয়াখানা পূর্বের তুলনায় সুসজ্জিত করা হয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়ন করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এভাবে চিড়িয়াখানাকে অপেক্ষাকৃত আধুনিক পর্যায়ে আমরা নিয়ে যাচ্ছি। মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের পর বাংলাদেশেই হবে আধুনিক চিড়িয়াখানা।
চিড়িয়াখানার জন্য আইন সম্পর্কে জানতে চাইলে শ ম রেজাউল করিম বলেন, চিড়িয়াখানার জন্য আমরা আইন প্রণয়ন করছি। ইতোমধ্যে চিড়িয়াখানা আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। আইন ও বিধি-বিধানের আওতায় বাংলাদেশের চিড়িয়াখানা পরিচালিত হবে।
করোনাকালীন পরিস্থিতিতে চিড়িয়াখানা কেমন ছিল, তা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, করোনাকালীন পরিস্থিতিতে এখানকার পশু-পাখি, সরীসৃপ জাতীয় প্রাণী মানুষের বিরক্তির শিকার হয়নি। সে কারণে প্রজনন শক্তি বেড়েছে। অনেক পশুপাখি বাচ্চা দিয়েছে। কোনো কোনো প্রাণীর এত বেশি বাচ্চা হয়েছে সেগুলো আমাদের বাইরে নেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। আমরা প্রায় ৩৬ লাখ টাকার হরিণ বিক্রি করেছি। আমরা ময়ূর বিক্রি করেছি। প্রজনন বেড়ে যাওয়ায় চিড়িয়াখানার ভেতরে স্থান সংকুলান করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, করোনাকালে নির্বিঘ্ন পরিবেশে পশুপাখিরা শুধু বাচ্চা দিতে পেরেছে তাই নয়, তাদের ডিম দেওয়া বৃদ্ধি পেয়েছে, আমরাও সেই ভাবে নার্সিং করেছি। অনেক সময় বাচ্চা হওয়ার পর মারা যায়, ডিম হওয়ার পর নষ্ট হয়ে যায়। এবার নার্সিংয়ের কারণে সেগুলো হয়নি। আমরা প্রকৃতিকে চমৎকার আন্তরিকতার সঙ্গে এখানে পরিচর্যা করেছি।
এ সময় জাতীয় চিড়িয়াখানার পাশাপাশি রংপুর চিড়িয়াখানা নিয়েও কথা বলেন শ ম রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, রংপুর চিড়িয়াখানা নিয়ে যদি কোনো অভিযোগ আসে, আমরা অবশ্যই খতিয়ে দেখব। তদন্ত করে দেখব। কোনো অনিয়ম হলে সেই অনিয়মের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো কিছুর সংকট থাকলে, স্বল্পতা থাকলে সেটিও পূরণ করা হবে। আমরা এখান থেকে রংপুর চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন রকমের প্রাণী নিয়ে যাচ্ছি। অর্থাৎ সেই চিড়িয়াখানাটাও সমৃদ্ধ করছি।সূত্র, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম