Type to search

ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত ডাঃ এস এম মাহমুদুর রহমান রিজভী

অভয়নগর

ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত ডাঃ এস এম মাহমুদুর রহমান রিজভী

ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত ডাঃ এস এম মাহমুদুর রহমান রিজভী
শেখ আলী আকবার সম্রাটঃ
যশোরের অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুনরায় যোগদান করার সংবাদ পেয়ে  যোগদানের প্রথম দিন উপজেলার বিভিন্ন পেশার মানুষ ও বিভিন্ন সংগঠনের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছেন গরীবের ডাক্তার খ্যাত চিকিৎসক এস এম  মাহমুদুর রহমান রিজভী।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) সকালে  ডাঃ এস এম  মাহমুদুর রহমান রিজভীর পুনরায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদানের সংবাদ পেয়ে প্রিয় মানুষটিকে দেখতে ও শুভেচ্ছা জানাতে সকাল থেকেই ফুল হাতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র সামনে ভীড় জমাতে শুরু করে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ ও সামাজিক সংগঠনগুলো।
উল্লেখ্য, , করোনার শুরু থেকেই নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উপজেলার মানুষের পাশে থেকে চিকিৎসা সেবা, পানি বন্ধী মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্য সেবা ও পরামর্শ দিয়ে উপজেলাম মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেন ডাঃ রিজভী।
করোনা-কালিন করোনা আক্রান্ত রোগীর সেবা করতে গিয়ে নিজেও একাধিকবার করোনা আক্রান্ত হন এই মানুষটি।
গত বছরের ১০ অক্টোবর হঠাৎ  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চলে যান ডা. রিজভী। তবে তার চলে যাওয়াটা কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি উপজেলার মানুষ।
 সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুকে শুরু হয় তাকে ফিরে পাওয়ার দাবি এবং সেটা ধারাবাহিক  ভাবে চলতে থাকে। অবশেষে  উপজেলার মানুষের কাঙ্খিত  চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পুনরায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার হিসাবে তাকে যোগদানের নির্দেশ দেন ।
পুনরায় অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদানের পর তার অনুভূতির কথা জানতে চাইলে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা  জানিয়ে ডাঃ এস এম মাহমুদুর রহমান রিজভী বলেন, আমি অভয়নগরে জন্মেছি। এখানের আলো,বাতাস এই উপজেলার মানুষের ভালবাসায় বড় হয়েছি, এই উপজেলার মানুষের কাছে আমি দায়বদ্ধ।
 এখানকার প্রতিটা  মানুষকে আমার স্বজন বলে মনে হয়, সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আমি ইতিপূর্বে এখানের মানুষের সেবা করার চেষ্টা করেছি। গত দিন গুলোতে  এই উপজেলার মানুষের পাশে যেভাবে ছিলাম আগামীতে’ও সুখে দুঃখে পাশে থাকার চেষ্টা করব।
এসময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি হাসপাতালে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হয়ে আশা আর না আশা এটা আমার কাছে বড় বিষয় নয়; আমি আমার মানুষের পাশে যেভাবেই হোক থাকতে চাই। তাদের ভালোবাসা নিয়ে আমি বেঁচে থাকতে চাই এটাই আমার কাছে বড় পাওয়া