Type to search

‘প্রিয় নীড়’ এখন তাদের স্থায়ী ঠিকানা

জাতীয়

‘প্রিয় নীড়’ এখন তাদের স্থায়ী ঠিকানা

এবার মুজিব বর্ষে গৃহায়ণ প্রকল্পের আওতায় তাদেরও হচ্ছে মাথা গোঁজার ঠাঁই। তাদের স্বাবলম্বী করতেও নেয়া হয়েছেন পদক্ষেপ।

মানুষের লাঞ্ছনা আর বঞ্চনাকে পিছনে ফেলে নতুন জীবণের হাতছানি। অবজ্ঞা নয় সমাজের আর পাঁচটা মানুষের মত মাথাউঁচু করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন তারাও। জানালেন, এখন আর রাস্তায় রাস্তায় টাকা তুলতে হয় না, দোকানে দোকানে যেয়ে চাল তুলতে হয় না।

হাজারো কুসংস্কার আর অপবাদ মাথায় নিয়ে ১৫ বছর আগে বাড়ি ছাড়েন সখি হিজরা। পথে পথে ঘুরে জুটতো দু’বেলা খাবার। বিরক্তির কারণ ছিলো হাজারো মানুষের। এখন নিজের জমিতেই সবজি বুনেছেন; দেখছেন নতুন স্বপ্ন। জানালেন, তারা যে বাসায় ভাড়া থাকতেন, অন্য মানুষ সেখানে থাকতে চাইতেন না। আর এখন সরকারি এই সুবিধা পেয়ে বেশ খুশি তারা।

পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন এ মানুষগুলো কিছুদিন আগেও ভিক্ষা করে মেটাতো ক্ষুধা। তবে, এবার দিন বদলেছে। সেলাই মেশিনের শব্দের তালে স্বাবলম্বী হবার আশাও গেঁথে চলছেন তারা।

হিজরাদের কষ্ট লাঘবে এগিয়ে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুজিব বর্ষে ৭০ হাজার গৃহহীন মানুষের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় প্রকল্প-২ এর অধীনে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার হাটিকুমরুল এখন তাদের স্থায়ী ঠিকানা।

“প্রিয় নীড়” নামের এই ব্যারাকে ২০টি ঘরে বসবাস করছেন ৫০ জন হিজরা। জীবিকার জন্য সরকার থেকে দেয়া হয়েছে, গবাদিপশু, হাস,মুরগী আর সেলাই মেশিন। তাই বৈষম্য আর অবহেলায় বেড়ে উঠা তৃতীয় লিঙ্গের এই মানুষগুলোর চোখে এখন নতুন স্বপ্ন।

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ মাহবুব হোসেন বলেন, “এখানে যারা আছেন তারা মাথা গোঁজার ঠাই পেয়েছেন, তারা স্বাবলম্বি হবেন। তারা প্রশিক্ষণ নেবেন এবং যেন আয় করতে পারেন সে ব্যবস্থা করবেন। এর মাধ্যমে উনাদের কাছ থেকে দেশ ও জাতি সেবা পাবে।”  সূত্র, DBC বাংলা