Type to search

পিকনিকের বাস উল্টে নিহত ২, আহত কমপক্ষে ৪০

যশোর

পিকনিকের বাস উল্টে নিহত ২, আহত কমপক্ষে ৪০

পিকনিকের বাস উল্টে নিহত ২, আহত কমপক্ষে ৪০
স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোর

ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়ায় যশোরের একটি পিকনিক বাস উল্টে দুইজন নিহত ও অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ও নিহতরা যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বাকড়ী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ। আহতরা গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ফরিদপুর ও যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বাকড়ী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিশ্বজিৎ কুমার পাল জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ৩টি বাসে করে গোপালগঞ্জে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থলে পিকনিকে যায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী শিক্ষক, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির লোকজন ও অফিসের কর্মচারীরা। সারাদিন গোপালগঞ্জের বিভিন্ন স্থান ঘুরে সন্ধ্যার পরে সমাধিস্থল থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাস তিনটি ফেরার পথে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া মোড়ে দ্বিতীয় বাসটি প্রথম বাসটিকে ওভারটেক করতে গিয়ে দ্বিতীয় বাসটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। বাসটি উল্টে গিয়ে সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগে। এ সময দ্বিতীয় বাসটির মধ্যে থাকা অভিভাবক সদস্য বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস (৫০) ঘটনাস্থলে মারা যান। তিনি বাঘারপাড়া উপজেলার বাকড়ী গ্রামের মৃত গোকুল চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে। এছাড়া গুরুতর আহত হয় বাসটিতে থাকা আরো অন্তত ৪০ জন শিক্ষার্থী-শিক্ষকরা। আহতের মধ্যে বিদ্যালয়ের ল্যাব সহকারী সুদিপ্ত বিশ্বাসকে (২৮) যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। তিনি বাঘারপাড়া উপজেলা দৌগাছি গ্রামের কুমারেশ চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে।

এদিকে, দুর্ঘটনার খবর শুনে আহত ও নিহতেন খোঁজ খবর নিতে হাসপাতালে আসেন যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ। একের পর এক এ্যাম্বুলেন্স আহত শিক্ষার্থীদের নিয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আসলে হাসপাতাল চত্ত্বর শোকাবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। নিহত-আহতদের স্বজনদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে।

আহতদের খোঁজ খবর নিতে এসে জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, দুর্ঘটনায় কবলিত সকল শিক্ষার্থীদের চিকিৎসায় কোন অসু্বিধা হবে না। চিকিৎসার যাবতীয় অর্থ ও সহযোগিতা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে। এ ঘটনায় আমরা শোকাহত।
রাত পৌনে ১২টার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের ডা. আখতারুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে ১৫ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে মৃত অবস্থায় একজনকে আনা হয়। বাকি আরও একজন ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। আহত ১৫ জনের মধ্যে ৪ জনকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে এক জনের অবস্থা গুরুতর। মনে হয় ঢাকায় স্থানান্তর করা হতে পারে।