নড়াইলে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে যশোরে মানববন্ধন

নড়াইলে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে যশোরে মানববন্ধন খ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবি
ফেসবুকে ধর্ম অবমানার অজুহাতে নড়াইলের লোহাগড়ার দীঘলিয়া গ্রামে হিন্দুদের বাড়ি ও মন্দিরে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদে যশোরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যশোর জেলা শাখার উদ্যোগে রোববার বিকেলে শহরের দড়াটানা ভৈরব চত্বরে এ কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচি থেকে বাহাত্তরের সংবিধান পূর্ণাঙ্গরূপে ফিরিয়ে আনা, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন ও সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি সকল সাম্প্রদায়িক হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
সারা দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে এ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন যশোর সংবাদপত্র পরিষদের বীরমুক্তিযোদ্ধা একরাম উদ দ্দৌলা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপংকর দাস রতন, জেলা রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের সভাপতি শ্রাবণী সুর, জেলা আইডিইবির সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম, বিবর্তন যশোরের সভাপতি নওরোজ আলম খান চপল, আইনজীবী প্রশান্ত দেবনাথ, লেখক ও কলামিস্ট মাহমুদা খানম রিনি, সাহিত্য পরিষদের বিদ্যুৎ দে, যুব মৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক সুকান্ত দাস, জেলা ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক অরূপ মিত্র, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদের জেলা সমন্বয়ক বিশ্বজিৎ মজুমদার।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির পক্ষে বক্তব্য রাখেন যশোর জেলা শাখার সভাপতি হারুণ অর রশীদ, সাধারণ সম্পাদক সাজেদ রহমান বকুল, যুগ্ম সম্পাদক যোগেশ দত্ত। সঞ্চালনা করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যশোর জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক প্রণব দাস।
এ সময় বক্তারা বলেন, দেশে একের পর এক একই ইস্যু তৈরি করে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টনসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়ি ঘরসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা, অগ্নিসংযোগ লুটপাট করা হচ্ছে। দেখে মনে হচ্ছে এই সাম্প্রদায়িক শক্তি দেশটাকে সংখ্যালঘু মুক্ত করে আফগানস্থানের মতো উগ্র সাম্প্রদায়িক দেশে রূপন্তর করতে চাচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা তাদের দলের ঘোষণা পত্র না মেনে সাম্প্রদায়িক শক্তির সাথে সখ্যতা করছে। যা মহান স্বাধীনতার ৫১ বছর পর কাম্য হতে পারে না।