Type to search

নড়াইলের শেখহাটি গ্রামে জমি প্রভাবশালী চক্রের দখলে নেওয়ার অভিযোগ

নড়াইল

নড়াইলের শেখহাটি গ্রামে জমি প্রভাবশালী চক্রের দখলে নেওয়ার অভিযোগ

নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইল সদর উপজেলার শেখাহাটি ইউনিয়নের শেখহাটি  গ্রামের মো আজাদ শেখের
জমি একটি প্রভাবশালী চক্রের দখলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে আজাদ শেখ ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় দারে দারে ঘুরছে। অভিযোগ
সুত্রে  জানা যায়, শেখহাটি গ্রামের  হাজী মোঃ আবুল হোসেন মাস্টারের  ছেলে
মো.আজাদ শেখ ২০১১সালে শেখহাটি ইউনিয়নের কাচদিয়া  বিলে নিজেদের  ৩৬ বিঘা
জমিতে একটি ঘের খনন করে । তিনি এই জমি ভোগ দখল করে আসছিলেন। তিনি নিয়মিত
জমির খাজনা দিয়েও আসছেন। জমিটি শেখহাটি কামকুল সড়কের সংলগ্ন হওয়ায় এর দাম
হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে এই জমির ওপর লোলুভ দৃষ্টি পড়ে  এলাকায়
ভূমি দস্যু চক্রের মুল হোতা একই গ্রামের মৃত কাদের শেখের ছেলে  ঝিকুও
তার আরো দুই ভাই ইকবাল শেখ ফিরোজ শেখ ও আলামিন শেখের।
সম্প্রতি আজাদ শেখ আর নিজ মাছের ঘেরে একটি ঘর নির্মাণ করতে গেলে
ভূমিদস্যু চক্রের হোতা ঝিকু প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে ।  আজাদ শেখ জানান
আমাদের কাচদিয়া মৌজায় একই দাগে ৩৬ বিঘা জমিতে আমি মাছের ঘের খনন করি
সেখানে মাছ চাষ হাস পালন এবং ছাগলের খামার ও করেছি। কিন্তু আমার খামার
থেকে প্রতিনিয়ত ছাগল হাস মাছ চুরি হচ্ছে, তাই আমি আমার ঘেরের পাড়ে একটি
ঘর নির্মাণ করিলাম কিন্তু তারা প্রভাবশালী হওয়ায় আমার জমিতে আমাকে ঘর না
বানানোর জন্য প্রাণ নাশের হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমার ঘেরের আসে পাশে আরো
জমি থাকায় সবার যাতায়াতের জন্য আমার ঘেরের পাড় ব্যবহার করে আসছে এতো বছর
ধরে আমি কখনো কাউকে বাধা দিইনি। তবে আমার কেনো আজ আমি আমার জমিতে আমার
সম্পাদ রক্ষার জন্য আমি ঘর বানাতে পারবোনা আমি প্রশাসনের কাছে জোর অনুরোধ
জানাচ্ছি এই ঝিকু বাহিনীর হাত থেকে আমাকে রক্ষা ও আমার সম্পাদের হেফাজত
যাতে আমি করতে পারি। এবং এবিষয়ে আমি  তাৎক্ষণিক বিষয়টি পুলিশকে জানায়।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সেখানে প্রতিপক্ষের লোকজনকে ঘর তুলতে নির্দেশ
দেন।
এ নিয়ে দুপক্ষের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এতে দুপক্ষের মাঝে যেকোনো
সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে বলে এলাকাবাসী আশঙ্কা করছে।
এ ব্যাপারে নড়াইল সদর  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত্ া(ওসি) মো. ওবাইদুর
রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান ঘটনার  সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য
আমরা দেখে এসেছি।
তিনি বলেন, বিরোধপূর্ণ জমিতে যাতে কোনপক্ষই যেন সংঘর্ষে না যায় তার জন্য
দুপক্ষকে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলার যাতে কোন অবনতি না হয়,
আমরা তা কঠোর নজরদারিতে রেখেছি।