দেশে করোনায় দৈনিক মৃত্যু বেড়ে ৩৪ জনে দাঁড়িছে

মারা যাওয়া ৩৪ জনের মধ্যে পুরুষ ১৯ এবং নারী ১৫ জন। বয়সের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি ছিলেন ৬১ থেকে ৭০ বছরের, ১২ জন।
দেশে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনার রোগী শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৩১ দশমিক ১০ শতাংশ। তার আগের দিন ছিল ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
২০২০ সালের মার্চে বাংলাদেশে প্রথম করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এরপর থেকে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৭ লাখ ৮৫ হাজার ৩৩২ জন। সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে মারা গেছেন ২৮ হাজার ৩৬৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৬৫ হাজার ৬৪৫ জন।
গত ডিসেম্বরের প্রথম দিকেও দেশে করোনা শনাক্ত ১ শতাংশের ঘরেই ছিল। তবে গত মাসের দ্বিতীয়ার্ধে এসে সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। গত মাসের শেষ দিকে যেখানে দৈনিক রোগী শনাক্ত ৫০০-এর ঘরে ছিল, সেখানে ধারাবাহিকভাবে বেড়ে এ সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে যায় ১০ জানুয়ারি। এর পর থেকে নতুন রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন অমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে এর সংক্রমণ বাড়ছে। আগের ধরনগুলোর তুলনায় অমিক্রন দ্রুত ছড়ায়।
এর আগে গত বছরের মাঝামাঝি করোনার ডেলটা ধরনের দাপটে দেশে করোনায় মৃত্যু, শনাক্ত ও শনাক্তের হার বেড়েছিল। তবে আগস্টে দেশব্যাপী করোনার গণটিকা দেওয়ার পর সংক্রমণ কমতে থাকে।
করোনার বিস্তার রোধে সরকারের বিধিনিষেধ চলছে। ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল-কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ১১টি বিধিনিষেধ ১৩ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে। এ নির্দেশনা কার্যকর করতে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চলছে।