Type to search

দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে সভা অনুষ্ঠিত

মনিরামপুর

দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে সভা অনুষ্ঠিত

স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোরঃ

২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশের ৬৩ জেলায় সিরিজ বোমা হামলা অনুষ্ঠিত হয়। দিবসটিকে বোমা হামলা দিবস হিসাবে আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগ দেশব্যাপী প্রতিবাদ সভা করছে।
দিবসটি উপলক্ষ্য করে আজ বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ অস্থায়ী দলীয় কার্যালয়ে প্রতিবাদ সভা করে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৮৯ যশোর -৫ মনিরামপুর সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক এস এম ইয়াকুব আলী।
এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিএম মজিদ, সাবেক পৌরসভার কাউন্সিলর গৌর কুমার ঘোষ, সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মিকাইল হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা সন্দ্বীপ ঘোষ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবুল আক্তার বাবলু, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আবুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক স.ম. আলাউদ্দীন, যুবলীগের সদস্য পলাশ কুশারী, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেন, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি, পৌর কাউন্সিলর কুদ্দুস, শ্যামকুড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আহাদুল করিম, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফজলুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহামুদুল হাসান রকি প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলার মাধ্যমে উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠী এদেশকে পাকিস্তান, আফগানিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র করেছিল। আওয়ামী লীগ এবং প্রগতিশীল শক্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এখনো চলমান আছে। তারা সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য ২০০৫ সালের ১৭ই আগস্ট দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) পরিকল্পিত সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছিল। সেদিন বেলা ১১টার দিকে মুন্সীগঞ্জ ছাড়া ৬৩ জেলার প্রায় ৫০০ স্থানে একযোগে বোমা হামলা চালিয়ে রাষ্ট্রকে হুমকি দিয়েছিল জঙ্গিরা।

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গিদের বোমা হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল সুপ্রিম কোর্ট, জেলা আদালত, বিমানবন্দর, মার্কিন দূতাবাস, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, প্রেসক্লাব ও সরকারি, আধা-সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহ। মাত্র আধঘণ্টার ব্যবধানে চালানো সেই হামলায় ৫ শতাধিক বোমার বিস্ফোরণে দুই জন নিহত ও দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছিলেন।