Type to search

ঢাকায় গণঅধিকার পরিষদের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ ও গ্রেফতারের অভিযোগ!

জাতীয়

ঢাকায় গণঅধিকার পরিষদের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ ও গ্রেফতারের অভিযোগ!

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে গণঅধিকার পরিষদের মিছিলে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে তিন জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৪ মার্চ) বিকেলে আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। আহতরা হলেন— লোকমান (২৮), ইমরান (২৬) ও শাহরিয়ার (২৮)।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টার পর একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ে গেলে গণ অধিকার পরিষদের নেতা কর্মীদের বাধা দেয় পুলিশ। সেখানেই একসময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ কয়েকজনের ওপর লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করেন। জানা গেছে, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশের কথা থাকলেও সেখানে সমাবেশ করতে পারেনি গণ অধিকার পরিষদের নেতা কর্মীরা। পরে তারা মিছিল নিয়ে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে গিয়ে সড়কের ওপর বসে পড়েন।

সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর বলেন, আমাদের কর্মসূচি ছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে, কিন্তু পুলিশ ও সরকারের পেটোয়া বাহিনী, শ্রমিক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ জুমার নামাজের পরপরই শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আমাদের নেতা কর্মীদের মারধর এবং শহীদ মিনারে আশপাশে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জায়গা দখলে নেয়। তারপর আমরা বাধ্য হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে মিছিল শুরু করি, মিছিলটি শাহবাগে আসলে পেছন দিয়ে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসী পুলিশ বাহিনী অতর্কিত হামলা করে প্রায় ৫০ জন নেতা কর্মীদের আহত করে, ১০ জনকে শাহবাগ থানায় ধরে নিয়ে যায়। আমরা এসব ফ্যাসিবাদী হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।

গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, সমাবেশ করতে না দিয়ে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের অধিকার হরণ করা আওয়ামী লীগের দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ। আমরা চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কমানোর দাবি জানাই, আটক নেতা কর্মীদের মুক্তি চাই। অন্যথায় এ দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় করা হবে।

শাহবাগ থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অপারেশন) কামরুজ্জামান বলেন, ‘হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। তারা প্রেসক্লাব থেকে শাহবাগ হয়ে ক্যাম্পাসে আসছিল। আমরা তাদের ঘুরিয়ে দিয়েছি। এরপর তারা ফের মৎস্য ভবন হয়ে প্রেসক্লাবের দিকে চলে গেছে।’