Type to search

ঝিকরগাছা তুলা অফিসে পূর্বের ন্যায় আবারও দুপুরে তালা : কর্মকর্তার বাহানার শেষ নেই !

ঝিকরগাছা

ঝিকরগাছা তুলা অফিসে পূর্বের ন্যায় আবারও দুপুরে তালা : কর্মকর্তার বাহানার শেষ নেই !

আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছা (যশোর) : যশোরের সহকারী বীজতুলা সংগ্রহ ও জিনিয় কর্মকর্তার যশোর জোন এর ঝিকরগাছা জিনিং কেন্দ্র বা উপজেলার তুলা উন্নয়ন বোর্ডের অফিসে বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) দুপুর ১টা ২৬মিনিটের সময়ও কর্মকর্তার উপস্থিতি নেই। দুপুর বেলায় তালা ঝুলানো থাকতে দেখা গেছে। সম্প্রতি ০৫ ০ও ০৬ ফেব্রুয়ারী যশোরের জেলা কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সহকারী বীজতুলা সংগ্রহ ও জিনিয় কর্মকর্তার যশোর জোন এর ঝিকরগাছা জিনিং কেন্দ্র বা উপজেলার তুলা উন্নয়ন বোর্ডের অফিসে কর্মকর্তা নেই, দুপুর বেলায় তালা ঝুলানোর উপর বিভিন্ন জাতীয়-স্থানীয় দৈনিক, অনলাইন ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরও কতৃপক্ষ কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আবারও পূর্বের ন্যায় একই বাহানা করতে দেখা গেছে, ক্রমাগতই তার বাহানার শেষ নেই।

তথ্য অনুসন্ধ্যানে জানা যায়, সহকারী বীজতুলা সংগ্রহ ও জিনিয় কর্মকর্তার যশোর জোন এর ঝিকরগাছা জিনিং কেন্দ্র বা উপজেলার তুলা উন্নয়ন বোর্ডের বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে বন্ধ ও ঠিকমত অফিসের কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে দ্বিমত থাকার বিষয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের নিকট সংবাদ আসলে। ঘটনার বিষয়ে সংবাদকর্মীরা গত ০৫ ফেব্রুয়ারী সোমবার বেলা ১২টার সময় ও বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) দুপুর ১টা ২৬মিনিটের সময়ও তুলা উন্নয়ন বোর্ডের অফিসে উপস্থিত হলে প্রতিষ্ঠানের সামনের গেট দেওয়া থাকলেও ভিতর থেকে তালা খোলা পাওয়া যায়। এসময় তুলা উন্নয়ন বোর্ডের অফিসে মধ্যে প্রবেশ করে দেখা যায় অফিসারের রুমের দরজায় তালা ঝুলানো। এ সময় তুলা উন্নয়ন বোর্ডের অফিসের ভিতরের কর্তব্যরত অফিসার, অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে অফিস এলাকার মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায় না।
দায়িত্বরত কর্মকর্তা উপজেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের ইউনিট অফিসার মোঃ ওহিদুজ্জামানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি যশোর অফিসে মিটিংয়ে আছি। তার ঝিকরগাছা অফিস খোলা আছে কি না জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমার অফিস খোলা আছে। তার অফিস বন্ধ থাকার বিষয়ে তাকে অবগত করা হলে তিনি বলেন, আমরা সবাই চলে এসছি অফিসে নিরাপত্তা কর্মী আছে। তখন নিরাপত্তা কর্মী উপস্থিত নাই অফিস বন্ধ। এই তথ্য তাকে জানানো হলে তিনি বলেন, আমি আমার নিরাপত্তাকর্মীকে ফোন দিয়ে দেখছি।
জেলা কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এই অফিস পরিচালিত হয় এবং ঠিকমত অফিসে কর্মকর্তাদের উপস্থিতি পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অফিস নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের নিকট নানান জল্পনা-কল্পনা রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। উল্লেখিত বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নজরে নিয়ে এলাকার সাধারণ চাষীদের কথা চিন্তা করে নিয়মিত চাষীদের জন্য সঠিক সেবা প্রদানের নিশ্চিত করতে জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।
ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা ফেসবুকে লাইভে আসলে তাৎক্ষনিক ফোনের মাধ্যমে কর্মকর্তা তার নিরাপত্তাকর্মী সুমনকে অফিসে আসতে বলেন। নিরাপত্তা কর্মী অফিসে আসার পর অফিস বন্ধের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি ৬দিনের ছুটিতে ছিলাম। আজ সকালে অফিসে আসার পূর্বেই স্যাররা অফিস থেকে চলে গেছেন। তখন তার (নিরাপত্তাকর্মী) নিকট অফিসের হাজিরা খাতায় তার উপস্থিতির স্বাক্ষর আছি কিন জানতে চাওয়া হলে তিনি (নিরাপত্তাকর্মী) হাজিরা খাতা দেখানোর পূর্বে তার স্যার তাকে হাজিরা খাতা দেখাতে নিষেধ করেন এবং সে হাজিরা খাতা সংবাদকর্মীদের না দেখায়। তিনি অফিস বন্ধ করে কোথায় ছিলেন এ বিষয়ে নিরাপত্তাকর্মী সুমন বলেন আমি রান্না করছিলাম।
পরবর্তীতে উপজেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের ইউনিট অফিসার মোঃ ওহিদুজ্জামান সংবাদকর্মীকে ফোন দিয়ে বলেন, আমার জেলা স্যারের সাথে কথা বলেন। তখন তার জেলা স্যার বলেন, আপনি কি আমার অফিসের লোক যে আপনাকে বলা লাগবে অফিস বন্ধ কেনো ?