Type to search

ছবির মতো সুন্দর মাঠেও অসুন্দর রইলই

জাতীয়

ছবির মতো সুন্দর মাঠেও অসুন্দর রইলই

মোহাম্মদপুরের বসিলায় অবস্থিত এ মাঠে আজই প্রথম ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের খেলা হয়ে গেল। খেলাঘর ও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হওয়া প্রিমিয়ার লিগের নতুন এ ভেন্যু নিয়ে মিনহাজুলের কৌতূহল। ফিল্ডিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে গাজীর অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ফরহাদ হোসেন মেটাচ্ছিলেন মিনহাজুলের কৌতূহল।

‘বস, উইকেট কিন্তু খারাপ না। ভালো ক্যারি আছে। আমাদের পেসারদের বল ভালোই বাউন্স নিল।’

‘খারাপ হওয়ার কথা না। শুনেছি, অনেকটা আগের আবাহনী মাঠের উইকেটের মতো।’

এটুকুতেই থামলেন না মিনহাজুল। ইউল্যাব মাঠের কথা বলতে বলতে নিজের খেলোয়াড়ি জীবনের গল্পে চলে গেলেন, ‘আমরা সারা মৌসুম অপেক্ষা করতাম, কখন আবাহনী মাঠে খেলা পড়বে। আমি মোহামেডানে খেলতাম, তাই ওই মাঠে খেলার খুব একটা সুযোগ মিলত না। রান করার সুযোগও কম পেতাম। কী চমৎকার উইকেট যে ছিল ধানমন্ডি মাঠে! বলে বোঝানো যাবে না।’

ইউল্যাব মাঠে ছিল কিছু অব্যবস্থাপনাও

ইউল্যাব মাঠের উইকেটের ব্যাপারে অবশ্য এক দিনেই বেশি প্রশংসা করলেন না মিনহাজুল, ‘আরও কিছু ম্যাচ যাক। এরপর না হয় বোঝা যাবে।’ আজ যেমন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ২৪৬ রান করে খেলাঘরকে ১৬০ রানেই অলআউট করেছে। ৮৬ রানে হারলেও উইকেট নিয়ে খেলাঘরের কোনো অভিযোগ নেই। বরং ভালো উইকেটে নিজেদের ভুলেই আউট হওয়ার আক্ষেপে পুড়ছেন নাদিফ চৌধুরীরা।

খেলাঘরের ক্রিকেটাররা অবশ্য এ মাঠের সঙ্গে বেশ পরিচিত। ৭ বছর ধরেই এ মাঠে অনুশীলন করে আসছে খেলাঘর। প্রিমিয়ার লিগে যদি কোনো ক্লাবের ঘরের মাঠ থাকে, সেটি খেলাঘরেরই।

দলটির এক ক্রিকেটার যেমন বলছিলেন, ‘দারুণ উইকেট বলতেই হয়। আজ আমরা ভালো খেলিনি। কিন্তু উইকেট ভালো। সবচেয়ে বড় কথা, আউটফিল্ড খুব ফাস্ট। বল ৩০ গজ ছাড়ালেই চার। বিকেএসপির চেয়েও দ্রুত বল গড়ায়। খেলা তো সবেমাত্র শুরু হলো। দেখবেন, এখানে ৩০০ রানও তাড়া করা হবে।’

ইউল্যাব মাঠের উইকেটের প্রশংসা করেছেন ক্রিকেটাররা

উইকেট ভালো মানেই রোমাঞ্চকর ক্রিকেটের বার্তা। সেই রোমাঞ্চের অপেক্ষায় না হয় থাকা গেল। কিন্তু অন্যান্য সুযোগ–সুবিধা কেমন? ক্রিকেটারদের ড্রেসিংরুম বলতে গেলে নেই–ই। বিয়েবাড়ির প্যান্ডেলের মতো করে বানানো হয়েছে ক্রিকেটারদের বসার জায়গা। ম্যাচ রেফারি, স্কোরারদের বসার জায়গাও একই রকম। এক স্কোরার দুর্দশার কথাটা মজা করেই বললেন, ‘ভাগ্যিস বৃষ্টি হয়নি। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলে তো খেলা চলিয়ে যায় আম্পায়াররা। কিন্তু আমার কী হবে? আমার স্কোরের খাতা তো ভিজে যাবে। আমি কোথায় যাব?’

ক্রিকেটারদের জন্য আলাদা গোসল করার ব্যবস্থাও নেই। খেলা শেষে স্কোরবোর্ডের পেছনের ট্যাংকে গোসল করতে দেখা গেছে ক্রিকেটারদের। সেখানেই পোশাক বদল করে একে একে মাঠ ত্যাগ করেছেন। চাঁদেরও কলঙ্ক থাকে। ছবির মতো সুন্দর ইউল্যাব মাঠের ‘কলঙ্ক’ এগুলোই।

এর আগে এ মাঠেই নারী দলের প্রস্তুতি ক্যাম্প আয়োজন করা হয়েছিল। এবার প্রিমিয়ার লিগের মোট পাঁচটি রাউন্ডের ভেন্যু ইউল্যাব মাঠ। মুজিব বর্ষ উদ্‌যাপন উপলক্ষে ২৯ মার্চ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে কনসার্ট আয়োজন করবে বিসিবি। তাই এ সময়ের মধ্যে মিরপুরের খেলাগুলো ইউল্যাবেই হবে।

তূত্র: প্রথম আলো

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *