খুলনায় সপ্তাহব্যাপী লকডাউন শুরু, নানা অজুহাতে পথে নামছে মানুষ

তবে নানা অজুুহাতে পথে নামছে মানুষ। সড়কে ব্যক্তিগত অসংখ্য যানবাহন চলাচল করছে। অফিসগামী মানুষকে মটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও বাইসাইকেলে যাতায়াত করতে দেখা গেছে। অলিগলিতে অটোরিক্সা ও পাড়ামহল্লায় চায়ের দোকান হোটেল খোলা রয়েছে। আবার যানবাহনের অভাবে রিক্সা-ভ্যানে গাদাগাদি করে অনেককে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। সেখানে মাস্ক ব্যবহার বা শারীরিক দূরত্ব মানছে না কেউ। তবে দূরপাল্লার গণপরিবহণ বন্ধ রয়েছে। নিউমার্কেট, শিববাড়ি মোড়, সোনাডাঙ্গা, শেখপাড়া, ময়লাপোতা মোড় এলাকায় সকল প্রকার দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২২-২৮ জুন পর্যন্ত লকডাউন চলাকালে খুলনা মহানগরী ও জেলায় সকল ধরনের দোকানপাট, মার্কেট, শপিংমল, কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। জেলার অভ্যন্তরে ইজিবাইক, থ্রি-হুইলারসহ যান্ত্রিক যানবাহন ও গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ থাকবে। খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের আগমন ও বহিরাগমন বন্ধ থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যাংকে লেনদেন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। তবে ঔষধের দোকান খোলা রাখা যাবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও কাঁচাবাজার সকাল সাতটা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
এদিকে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ্জামান বলেন, বিধি নিষেধ বা লকডাউন সব ক্ষেত্রেই মাস্ক ব্যবহারে বাধ্যতামূলক করতে হবে। মাস্ক পড়তেই হবে। এজন্য জনসচেতনতা তৈরি করা ও কঠোর হতে হবে। প্রশাসনের কাছে পর্যাপ্ত মাস্ক থাকতে হবে যাতে সাধারণ মানুষকে বিতরণ করা যায়। লকডাউন শুরু হয়েছে। এর আগে টানা বিধি নিষেধ ছিল কিন্তু সংক্রমণ কমার ক্ষেত্রে কোন প্রভাব পড়ছে না। এর কারণ আমরা কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছি না। এ ক্ষেত্রে শুধু প্রশাসনকে দায়ী করলে হবে না। আমরা যারা সমাজ সচেতন ব্যক্তি তাদেরও এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে হবে।
সূত্র বিডি প্রতিদিন