কেশবপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞার পরও হাসানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাচীর নির্মাণ অব্যাহত

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের কেশবপুরে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে হাসানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগে বিজ্ঞ আদালত নির্মাণ কাজে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।
জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলার হাসানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়ের প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এদিকে জমির দাবিদার হাসানপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের স্ত্রী রোকেয়া বেগম মুখে তাদেরকে কার্যক্রম বন্ধ রাখার অনুরোধ করলেও সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক নির্মাণ কাজ বন্ধ না করায় তিনি কেশবপুর সহকারী বিজ্ঞ জজ আদালতে পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ কমিটির ৪ জনের নামে মামলা করেন। যার নম্বর ১৩৯/২০। এ মামলায় ২৯ অক্টোবর বিজ্ঞ আদালত প্রাচীর নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা জারিসহ বিদ্যালয়ের সভাপতি, প্রধান শিক্ষক, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসারকে জবাব দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলার হাসানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়ের প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এদিকে জমির দাবিদার হাসানপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের স্ত্রী রোকেয়া বেগম মুখে তাদেরকে কার্যক্রম বন্ধ রাখার অনুরোধ করলেও সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক নির্মাণ কাজ বন্ধ না করায় তিনি কেশবপুর সহকারী বিজ্ঞ জজ আদালতে পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ কমিটির ৪ জনের নামে মামলা করেন। যার নম্বর ১৩৯/২০। এ মামলায় ২৯ অক্টোবর বিজ্ঞ আদালত প্রাচীর নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা জারিসহ বিদ্যালয়ের সভাপতি, প্রধান শিক্ষক, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসারকে জবাব দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল জব্বার জানান, তিনি একটি নোটিশ পেয়েছেন।
উল্লেখ্য ইতিপূর্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট করা মন্জুর আলম পলাশ, হত দরিদ্র আঃ রাজ্জাক ও আঃ আজিজ এর লিখিত অভিযোগে জনাগেছে, উপজেলার ৫৯ নম্বর হাসানপুর মৌজার ১৫ শতক জমি তারা পৈত্রিক ও ক্রয় সূত্রে মালিক। তাদের নামে রেকর্ড কৃত জমির হাল দাগ ১৫৮, ১৭২, ১৫৪ ও খতিয়ান নম্বর ১৪০,৪৫৯। এ জমির পিছনে হাসানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত । এ বিদ্যালয়ের নামে মতিয়ার রহমান ও আসাদুজ্জামান স্বপনের দান করা ২৩ শতক জমি আছে, যার হালদাগ ১৪৭, ৭৪৫। বিদ্যালয়ের নামে জমির ওপর বিদ্যালয়ের ভবন না থাকায় দাতারা জমি ভোগদখল করে আসছে। বিদ্যালয়ের নামের জমি দখলমুক্ত না করে অভিযোগকারীদের পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত জমিতে ১লা অক্টোবর প্রাচীর দেয়ার কাজ শুরু করে। এ সময় অভিযোগকারীরা বাঁধা প্রদান করলেও প্রাচীর দেয়ার কাজ অব্যাহত রেখেছে।
এ ছাড়া দরিদ্র আঃ রাজ্জাক তার ক্রয়কৃত জমি রক্ষা করতে ২৭/০৯/২০ তারিখে জমির ওপর ১৪৪ ধারা জারী হলেও প্রাচীর নির্মাণ কাজ অব্যাহত থাকে