করোনাকে প্রথম থেকেই চীনা ভাইরাস বলে ব্যঙ্গবিদ্রুপ করেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মিউটেশনের মাধ্যমে পরিবর্তিত করোনার ধরণগুলোকে সেই দেশের নামেই ডাকা শুরু হয়।
করোনায় যেসব দেশে বেশি প্রাণহানি হয় সেসব দেশের ধরণ নিয়ে তৈরি হয় আতঙ্ক। ব্রাজিল ও ভারতসহ কয়েকটি দেশের ভ্যারিয়েন্ট অতি সংক্রামক বলে চিহ্নিত করেন বিজ্ঞানীরা।
শুরু থেকেই দেশের সঙ্গে মিলিয়ে ভাইরাসের নামকরণকে বৈষম্যমূলক বলে আপত্তি তোলেন অনেকে। গত মাসে ভারতে শনাক্ত অতি সংক্রামক ধরণটি বিশ্বজুড়ে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে পরিচিতি পাওয়ায় প্রতিবাদ জানায় মোদী সরকার।
এমন প্রেক্ষাপটে করোনা নতুন ধরণগুলো গ্রিক হরফে চিহ্নিত করা শুরু করলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সোমবার (৩১ মে) নতুন এই নামকরণ পদ্ধতির ঘোষণা দেয়া হয়।
গত বছরের শেষে যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া ধরণটির নাম এখন থেকে ‘আলফা’। দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত করোনার ধরল পরিচিত হবে ‘বেটা’ নামে। ব্রাজিলে শনাক্ত হওয়া ভ্যারিয়েন্টটির নাম দেয়া হয়েছে ‘গামা’। দ্বিতীয় ঢেউয়ে সমগ্র ভারতকে বিপর্যস্ত করে ফেলা করোনার ধরণের নামকরণ করা হয়েছে ‘ডেল্টা’।
তবে গ্রিক বর্ণমালায় ২৪টি হরফ থাকায় প্রশ্ন উঠছে, করোনার ২৪টির বেশি ধরণ শনাক্ত হলে নামকরণ কীভাবে হবে? ভবিষ্যতে এমন হলে নামকরণের নতুন পদ্ধতি আনার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কারিগরি প্রধান মারিয়া ভ্যান কেরখোভ জানান, ‘নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তে কড়া নজরদারির পাশাপাশি গবেষণার জন্য তথ্য বিনিময় প্রয়োজন। তবে করোনার ধরণ শনাক্ত করে তা রিপোর্ট করায় কোন দেশের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করা উচিত নয়। নতুন নামগুলো বৈজ্ঞানিক নামের পরিবর্তে ব্যবহার হচ্ছে না, বরং বুঝতে সুবিধার জন্য নামকরণের এই পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।
উচ্চারণ কঠিন হওয়ায় নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলোকে বৈজ্ঞানিক নামে ডাকলে ভুল হওয়ার শঙ্কা থাকে বলেও জানান তিনি।
সূত্র,ডিবিসি নিউজ