অষ্টেলিয়া, সাহসী’ পাকিস্তান, ভিতু

তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। রাওয়ালপিন্ডি ও করাচি টেস্টে ড্র করে দুই দল। লাহোর টেস্টে প্যাট কামিন্সের স্পোর্টিং ডিক্লারেশন পাকিস্তানের জন্যও সুযোগ রেখেছিল। জয়ের জন্য ৩৫১ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে বিনা উইকেটে ৭৩ রানে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেছিলেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার। শেষ দিনে ২৭৮ রান সহজ লক্ষ্য না হলেও অসম্ভব কিছু ছিল না।
কিন্তু ৫ উইকেটে ১৯০ রান নিয়ে চা–বিরতিতে যাওয়া পাকিস্তান শেষ সেশনে ভেঙে পড়ে। ২৩৫ রানে অলআউট হয়ে শেষ পর্যন্ত জোটে ১১৫ রানে বড় হার।
শেষ দিনে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের খেলার ধরনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন অনেকে। উইকেটে পড়ে থাকার মানসিকতা দেখে মনে হয়েছে, টেস্ট ড্র করতে চায় পাকিস্তান। যদিও পুরো দিন ইতিবাচক মনে ব্যাটিং করলে জয়টা বাবরদের হাতের নাগালেই থাকত বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে অস্ট্রেলিয়াকে ‘সাহসী’ আখ্যা দিয়ে পাকিস্তান দল ও বোর্ডের (পিসিবি) সমালোচনা করেছেন শোয়েব আখতার, ‘খুবই হতাশার সিরিজ। এর কোনো মানেই হয় না। পিসিবি ও টিম ম্যানেজমেন্ট হয়তো সিরিজ ড্র করতে চেয়েছে। ওরাও জিতবে না, আমরাও না, সিরিজটা ড্র করে শেষ করো।’

অস্ট্রেলিয়া দলের প্রশংসা করে শোয়েব বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়াকে টুপি খোলা অভিনন্দন। এই দলের কেউ পাকিস্তানে এর আগে খেলেনি। কিন্তু তারা এখানে সাহসী ক্রিকেট খেলেছে।’ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্রুততম ডেলিভারির রেকর্ড গড়া শোয়েব মনে করেন, সিদ্ধান্ত নিতে পিসিবির উচ্চপদস্থ পদগুলোয় রদবদল আনতে হবে, ‘যখন আপনি সাহসী হতে পারবেন না, তখন এমন ফল আসবে। ২৪ বছর পর ওরা (অস্ট্রেলিয়া) এখানে এসেছে, ভালো উইকেট ওরা আশা করতেই পারে। কিন্তু আমরা তা দিইনি। ফলও হয়েছে উল্টো। এটা ভুল মানসিকতা। আমাদের এমন লোক দরকার, যারা সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে পাকিস্তানে তা হয় না।’
পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম অবশ্য দাবি করছেন, তাঁর দল রক্ষণাত্মক মানসিকতা নিয়ে খেলেনি। সংবাদ সম্মেলনে বাবর বলেছেন, ‘আমরা পরিস্থিতি বুঝে খেলার চেষ্টা করেছি, রক্ষণাত্মক মানসিকতা নিয়ে খেলিনি। লক্ষ্যে পৌঁছাতে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলেছি।’
সূত্র : প্রথম আলো: