Type to search

উৎপাদিত পন্য বিক্রি করতে না পারায় আকিজ জুট মিল বন্ধের পথে

অভয়নগর

উৎপাদিত পন্য বিক্রি করতে না পারায় আকিজ জুট মিল বন্ধের পথে

কামরুল ইসলাম, অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি :
দুই সহ¯্রাধিক শ্রমিককে কাজে আসতে নিষেধ করা হয়েছে
দেশের বাজারে পাটের সংকট, দাম বেশী এবং বহির্বিশ্বে উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা না থাকায় উৎপাদন সীমিত করা হয়েছে যশোরের নওয়াপাড়া আকিজ জুট মিলে। গত কয়েক দিনে দুই হাজার শ্রমিককে কাজে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। মিলের তিন শিফট থেকে কমিয়ে দুই শিফট করা হয়েছে। আগামী শনিবার থেকে এক শিফট চলবে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার থেকে শ্রমিকদের যাতায়াতে ব্যবহৃত কয়েকটি বাস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আকিজ জুট মিলের নির্বাহী পরিচালক শেখ আব্দুল হাকিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর ফলে পর্যায়ক্রমে বাদ দেয়া শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
আকিজ জুট মিল সুত্রে জানা গেছে, নওয়াপাড়া আকিজ জুট মিলের তিন শিফটে প্রায় ৭ হাজার শ্রমিক ও ২ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারি রয়েছে। তার মধ্যে বদলি ৫ হাজার পাঁচ শত বদলী শ্রমিক রয়েছে। উৎপাদিত পন্য বিশ্ব বাজারে চাহিদা কমে যাওয়া, গুনগতমানের পাটের সংকট ও পাটের মুল্য বৃদ্ধিও কারণে সি (রাতের) শিফটের আপাতত ২ হাজার কাজে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। এবং তাদের যাতায়াতে ব্যবহৃত কয়েকটি বাস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
মিলের স্পিনিং বিভাগের বাদ দেয়া শ্রমিক তক্কেল আলী বলেন, হঠ্যাৎ করে মিলের কাজ বন্ধ হওয়ার কারণে বেকার হয়ে পড়েছি। মিলে পাট নেই বলে আমাকেসহ অনেকের কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কাজ না থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছি।
আকিজ জুট মিলের সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মো: জাহিদুল ইসলাম জানান,আভ্যন্তরীণ বাজারে গুনগত পাট না পাওয়া এবং পাটের দাম অনেক বেশী হওয়ায় কতৃপক্ষ উৎপাদন সীমিত করতে বদলী শ্রমিকদের গত ৮ নভেম্বর থেকে পর্যায়ক্রমে বাদ দেয়া শ্রমিকদের আপাতত আসতে নিষেধ করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও শ্রমিকদের কাজে নেয়া হবে। বর্তমানে কম শ্রমিক দিয়ে মিল চালু রয়েছে। মিলের নির্বাহী পরিচালক আব্দুল হাকিম বলেন, আকিজ জুট মিলের পণ্য তুরস্কে রপ্তানি করা হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উৎপাদিত পণ্য পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া পাঠাতে গেলে খরচও বেশী হচ্ছে। সেই সাথে নতুন অর্ডারও কমে গেছে। পাশাপাশি দেশের বাজারে গুনগতমানের পাট পাওয়া যাচ্ছে না। যেটা পাওয়া যাচ্ছে তার দামও বেশী। সবমিলিয়ে তিন শিফটে উৎপাদন সচল রাখা সম্ভব হচ্ছে না। লোকসান এড়াতে স্থায়ী শ্রমিকদের দিয়ে এখন দুইটি শিফটে কাজ চলছে।