নওয়াপাড়ায় জেলা পরিষদের জায়গা থেকে ১৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

নওয়াপাড়া অফিস
যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ায় জেলা পরিষদের জায়গা থেকে ১৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ উপজেলার নওয়াপাড়া নূরবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৭টি আধা পাঁকা ও টিনশেড ঘর উচ্ছেদ করে।
জেলা পরিষদ সূত্র জানায়, উপজেলার নওয়াপাড়া নূরবাগ এলাকায় জেলা পরিষদের সাড়ে ১২ শতক জমি আছে। ২০০২ ও ২০০৩ সালে কয়েক ব্যক্তি যশোর জেলা পরিষদ থেকে এক বছরের জন্য বন্দোবস্ত নিয়ে এ জমিতে স্থাপনা তৈরি করে ব্যবসা করতে থাকেন। তাঁরা ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে বন্দোবস্ত নবায়ন করেন। পরে জেলা পরিষদ ওই জমিতে বহুতল মার্কেট নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর জেলা পরিষদ বন্দোবস্ত বাতিল করে স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য তাঁদেরকে চিঠি দেয়। কিন্তু তাঁরা স্থাপনা না সরিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। নিম্ন আদালতের রায় ওই ব্যবসায়ীদের বিপক্ষে গেলে তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করেন। সেখানে তাঁরা হেরে যান। সর্বশেষ হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেও তাঁরা হেরে যান। এরপর জেলা পরিষদ ওই ব্যবসায়ীদের স্থাপনা সরিয়ে নিতে চূড়ান্ত চিঠি দেয়। আদালতের আদেশ অমান্য করে দোকানঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করতে থাকেন ব্যবসায়ীরা। আজ সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বুলডোজার দিয়ে এসব স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
যশোর জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা লুৎফর রহমান সরদার বলেন, নওয়াপাড়া বাজারের নূরবাগ এলাকায় জেলা পরিষদের মালিকানাধীন ভূমি একসনা বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছিল। একসনা বন্দোবস্তের শর্ত অনুসারে, কোনো অবস্থায় ইজারাকৃত ভূমিতে স্থায়ীভাবে অবকাঠামো নির্মাণ করা যাবে না। এসব শর্তাবলী কেউ লঙ্ঘন করলে ইজারা আপনা-আপনি বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু ইজারা গ্রহীতারা সেই শর্ত ভেঙে স্থায়ী অবকাঠামো গড়ে তুলেছেন। যে কারণে উচ্ছেদ অভিযানে সেসব স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকৃত জমিতে স্থাপনা তৈরি করে ভাড়া দেবে জেলা পরিষদ।
উচ্ছেদ অভিযানে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান, অভয়নগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) থান্ডার কামরুজ্জামান, নওয়াপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. আব্দুল হামিদ উপস্থিত ছিলেন।