অভয়নগরে সরকারি গুদামে কৃষকের ধান ফেরৎ দিয়ে ব্যবসায়ির ধান কেনার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্ট
ারঅভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া সরকারি খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা হচ্ছে না। গুদাম কর্মকর্তা মোটা টাকা উৎকোচ নিয়ে ব্যবসায়িদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত ২৭ মে তারিখে নওয়াপাড়া খাদ্য গুদামে ধান বিক্রয় করতে এসেছিলেন উপজেলার চেঙ্গুটিয়া গ্রামের বর্ষিয়ান কৃষক শামসুর রহমান(৭০) । তার ধান গুদামের সামনে চার দিন ফেলে রাখা হয়। ধানের আদ্রতা বেশি আছে এমন অভিযোগে তার কাছ থেকে ধান ক্রয় করা হয়নি। তিনি পরে ওই ধান ফেরৎ দিয়ে যান।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস সূত্রে জানা গেছে উপজেলায় এ বছর সরসরি কৃষকের কাছ থেকে ১ হাজার ১৮৬ মে.টন ধান ক্রয় করা হবে। এছাড়া চাল কল মালিকদের কাছ থেকে ৭ হাজার ৮৯২ টন চাল ক্রয় করা হবে। প্রতি কেজি ধান ৩০ টাকা হিসাবে ১২শ টাকা মন দরে ধান ও ৪৪ টাকা কেজি দরে চাল ক্রয় করা হচ্ছে।
কৃষক শামসুর রহমান জানান,‘ গত চার দিন আগে আমার ভাইপো কে সাথে নিয়ে নওয়াপাড়া খাদ্য গুদামে ৩ টনা ধান বিক্রি করতে আসি। গুদামের অফিসার আমাকে বলেন, আমার কাছে না শুনে ধান নিয়ে এসেছেন কেন। আমি আনেক বোঝাতে চেষ্টা করি কিন্তু তিনি রেগে যান। গুদাম কর্মকর্তা আমার ভাইপো আবদুল হাই বিশ^াসকে বলেন চার হাজার টাকা উৎকোচ দিলে আপনার ধান নেওয়া হবে। আমরা টাকা দিতে অস্বীকার করলে তিনি ধান নিয়ে চলে যেতে বলেন। আমরা কোন উপায় না দেখে চার দিন পরে ধান ফেরৎ নিয়ে আসি।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কৃষক বলেন , আমাদের কাছ থেকে ধান ক্রয় না করে মোটা টাকা উৎকোচ নিয়ে চাকই বাজার ও আশপাশের বিভিন্ন বাজারের আড়ৎদারদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা হচ্ছে।
নওয়াপাড়া খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা (ওসি এলএসডি) অসীম কুমার মন্ডল বলেন, ‘এখানে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা হচ্ছে। ধানের আদ্রতা ১৪ শতাংশ পর্যন্ত গ্রহন করা হয়। কৃষক সামছুর রহমানের ভাইয়ের ছেলের কাছে চার হাজার টাকা উৎকোচ চেয়েছে এটা মিথ্যা কথা। ওনার ধানে ১৬ শতাংশ আদ্রতা রয়েছে যে কারনে আমি সামছুর রহমানের ধান ফেরত নিয়ে যেতে বলেছিলাম। কিন্তু তিনি ধান ফেরতে না নিয়ে চার দিন গুদামের সামনে ফেলে রেখেছেন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দীন বলেন, ‘উপজেলা খাদ্য গুদামে কৃষকের ধান নেওয়া হচ্ছে না কিম্বা ব্যবসায়ির কাছ থেকে উৎকোচ নিয়ে ধান ক্রয় করা হচ্ছে এমন ধরনের কোন অভিযোগ আমার কাছে কেই করেনি। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’