Type to search

ঈদের কবিতা  শিরোনাম : উল্টে যাওয়া সময়

সাহিত্য

ঈদের কবিতা  শিরোনাম : উল্টে যাওয়া সময়

কলমে : বিলাল মাহিনী
বিচি থেকে অঙ্কুরিত চারা
এরপর দু’পাতা, তারপর ডালপালা
এক সময় সবুজ পত্র-পল্লবে ভরে যায়, হয়ে উঠে বিশাল ছায়াদানি বৃক্ষ
…অবশেষে যুগ যুগ কিংবা শত সহস্র বৎছর ছায়া বিলিয়ে, মানুষ পশু-পক্ষীর খেদমত করে সবুজ পাতা আর ডালপালা ঝরে টাক হয়ে পড়ে বৃক্ষমাস্তুল!
আমাদের পৃথিবী তেমনি নুয়ে পড়া বৃদ্ধ বৃক্ষের মতো হেলে পড়েছে পশ্চিমে, গোধূলির দিকে
এখানকার জীব-জন্তু, মানুষ আবহাওয়া প্রকৃতি সাগর নদী জল ধুলোবালি মাটি…সর্বত্র রুক্ষ মরুময় হয়ে যাচ্ছে, ঠিক বৃদ্ধ বটের ন্যায়
মানব বসতির বহু সহস্র কোটি বৎছর আগে পৃথিবীর বীজ বপন করা হয়েছিলো মহাবিশ্বে, এরপর পৃথিবীর চারা গজালো..নতুন পত্র পল্লবে সবুজে ভরে উঠলো পৃথিবী
লাল-নীল-হলদু-বেগুনী..আরো কতো রঙের ফুল ফলে ভরে গেলো ধরনী!
মানুষ আর প্রাণের অস্তিত্ব এলো
তারাও পৃথিবীর সাথে সাথে- কচি থেকে কিশোর যুবা পৌড় বৃদ্ধ হলো..
পৃথিবীও প্রাণ হারাবে, হারাতে বসেছে
প্রাণহীন মানুষের হেমলক পানে
এখন মানব জাতির অন্তিম ক্ষণ
নতুন পৃথিবী ও নতুন প্রাণের হাতছানি
নতুন শিশুর মতো
নতুন প্রেম-প্রণয়ের মতো
নতুন বৎছরের মতো
নববধূ-বরের মতো
নতুন বই সিনেমা নাটকের মতো…
সময় উল্টে যাচ্ছে, সামনে ভিড়তে ভিড়তে সময়ের শেষ বিন্দুতে মানব সভ্যতা-
জীবনকে মৃতপ্রায় করে তুলছে
আমাদের রুষ্টতা
এতো উঁচু শিখরে উঠে গেছি আমরা
এখান থেকে সবুজ আর সুন্দরে নেমে যাওয়ার সব পথ রুদ্ধ
সামনে শুধু শ্মশান, লাশ আর লাশ!
এই যে ঈদ পূজার দিনে
সব আত্মার বন্ধন ভুলে
একাকী সেলফোনে গোপন শয়ন কক্ষে ভঙ্গুর সাদাকালো আমি!
বন্য-প্রস্তর যুগই ছিলো ভালো
যদিও তখন ছিলো না এতো আলো
তবু আশা বুকে বাঁধি
সব জরা ঝরে যাক
ধূসর ঈদ মুবারক!!