চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের চৌগাছায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় আক্তারুজ্জামান (২৬) ও শরিফুল ইসলাম (৫০) নামে দুই দিন মজুর নিহত হয়েছেন। শরিফুল চৌগাছা উপজেলার সিংহঝুলী ইউনিয়নের জামালতা গ্রামের মৃত শুকুর আলী কারিগরের ছেলে এবং আক্তারুজ্জামান ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ উপজেলার সাকো বাজার মোল্লাডাঙ্গার আব্দুল মান্নানের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী একটি কীটনাশক কোম্পানীর প্রতিনিধি টনিরাজ বলেন, রবিবার ভোর পাঁচটার দিকে চৌগাছা-যশোর সড়ক দিয়ে বাইসাইকেলে চুড়ামনকাঠি বাজারে কাজ করতে যাচ্ছিলেন শরিফুল ইসলাম (৫০)। সিংহঝুলী মল্লিকবাড়ী নামক স্থানে পৌঁছালে একটি পিকআপ (ঢাকা মেট্রো-ন ১৮-১৪৫৯) পেছন থেকে ধাক্কা দিলে তিনি মারাত্মক আহত হন। উদ্ধার করে দ্রæত যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে খুলনা শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর দুইটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। মুঠোফোনে নিহতের চাচাতো ভাই সোহাগ হোসেন তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা পিকআপটি ঘটনাস্থলে আটকে রেখেছে।
অন্যদিকে শনিবার রাত পৌনে দশটার দিকে চৌগাছা শহরের ফারহানা টাওয়ারের সামনে একটি মাটিবহনকারী ট্রাক্টরের (তানজিলা ব্রিকসের ভাড়ায় চালিত) চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যান আক্তারুজ্জামান নামে এক এক্সেভেটর চালকের সহকারী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত পৌনে নয়টার দিকে শহরের তানজিলা ব্রিকসে মাটিবহনকারী একটি মাটিভর্তি ট্রাক্টরের চালকের পাশে বসে চৌগাছা ফিলিং স্টেশনে তেল নিতে যাচ্ছিলেন তিনি। ট্রাক্টরটি চৌগাছা-যশোর সড়কের ফারহানা টাওয়ারের সামনে পৌছালে রয়েল পরিবহনের একটি বাস ট্রাক্টরটি ক্রস করার সময় ধাক্কা দিলে নিচে পড়ে যান আক্তারুজ্জামান। এসময় ট্রাক্টরটির পেছনের চাকা তাঁর শরীর পিষ্ট করে দ্রæত গতিতে পালিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা দ্রæত তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। হাসপাতালে নিহতের স্বজনরা জানান, তিনি পেটভরা নামক স্থানে তাঁর এক্সেভটরে চালকের সাথে মাটি কেটে ট্রাক্টরে ভরে দিচ্ছিলেন। এক্সেভেটরের তেল ফুরিয়ে গেলে মাটিভর্তি ট্রাক্টরে করেই তিনি তেল নিতে যাচ্ছিলেন।