Type to search

২৩ মে ইতনার গণহত্যা দিবস, ৫০/৬০ গ্রামবাসীকে গণহত্যা করা হয় 

অপরাধ জাতীয়

২৩ মে ইতনার গণহত্যা দিবস, ৫০/৬০ গ্রামবাসীকে গণহত্যা করা হয় 

নড়াইল প্রতিনিধি
আজ ২৩ মে ইতনার গণহত্যা দিবস। ইতনা ঠিক বিপরীতে মধুমতি নদীর ওপারে চরভাটপাড়া গ্রামে পাক-সেনারা চালায় ২২ মে গণহত্যা,অগ্নিসংযোগ ও মা-বোনদের সম্ভমহানী।এঘটনার প্রত্যক্ষ মুখো-মুখি হন চর-ভাটপাড়া গ্রামের কৃষক অনিল কাপালী। কৃষক অনিল কাপালী মা-বোনদের প্রতি অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে খালি হাতে ঝাপিয়ে পড়ে এক পাক-সেনার ওপর।
         বীর বাঙ্গালী অনিল কাপালী পাক-সেনার কাছ থেকে তার রাইফেল কেড়ে নিয়ে দৌড়ে যায় নদীর দিকে। মধুমতি নদীতে অস্ত্র ফেলে নিজে সাঁতার কেটে চলে আসে এপারে ইতনায়। পরের দিন পাক-সেনারা অনিল কাপালীকে ধরতে চর-ভাটপাড়া গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আত্মরক্ষার জন্য চর-ভাটপাড়া বাসীরা বলে কাপালীর বাড়ি ইতনায়।
         পরের দিন ইতনায় গণহত্যার পরিকল্পনা করে ৫ টি নৌবহর ধারা পাক-সেনারা পুরো গ্রাম ঘিরে ফেলে কাক ডাকা ভোরে। তারা ৫ ভাগে ভাগ হয়ে ঢুকে পড়ে গ্রামের ভিতর। মানুষ তখন ঘুমন্ত। কেউ কেউ ফজরের নামাজ পড়ার জন্য ঘুম থেকে উঠেছে। পাক সেনারা প্রথমেই হিমায়েত মিনাকে গুলি করে তখন সে গুলি অবস্থায় বীর দর্পনে“জয়বাংলা” বলে চিৎকার দেয়। এভাবে সে চিৎকার দিয়ে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে। যতক্ষন সে জয়বাংলা বলেছে ততবার পাক-সেনারা তাকে গুলি করেছে। এর পর আব্দুর রজ্জাক ফজরের নামাজ পড়ে কোরান শরীফ পড়ছে এসময় তাকে গুলি করে।
            বানছারাম মন্ডল কে গুলি করতে উদ্দ্যোগ নিলে আত্মরক্ষার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে। গুলিবিদ্ধ হয়ে বেঁচে যান,বজলার রহমান,আঃ জলিল,হারুন শেখ সহ অনেকে। ইতনা হয়ে পড়ে ভুতুড়ে গ্রাম। লাশ আর লাশ। দাফন করার মত মানুষ নেই। গ্রামবাসীরা ধর্মীয় সকল নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে কোন মতে শহীদদের দাফন করে গ্রাম ছাড়া হয়। এ আতংক সবার মধ্যে। ঔদিন কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ গ্রামবাসীকে পাক-সেনারা হত্যা করে। এ উপলক্ষে ইতনা স্কুল এন্ড কলেজের পক্ষ থেকে শহীদদের স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন, ইতনায় শহীদদের স্মরনে বিকালে আলেচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।