Type to search

সুনামগঞ্জে বন্যায় আটকা পড়েছে ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী, উদ্ধারের আকুতি

জাতীয়

সুনামগঞ্জে বন্যায় আটকা পড়েছে ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী, উদ্ধারের আকুতি

সুনামগঞ্জে টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণে গিয়ে আটকা পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২১ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ১৯ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৩তম ব্যাচ ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। সুপেয় খাবার পানিসহ নানা সংকটে দুরবস্থার মধ্যে রয়েছেন। বাকি দুইজন অন্য বিভাগের। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে আটকা পড়াদের উদ্ধারের জন্য পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের ওই দলটি গত ১৪ জুন সিলেটে ঘুরতে যায়। এরপর ১৫ জুন সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে যাওয়ার পরই বন্যা পরিস্থিতির অবনতি শুরু হয়। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে ট্রলারে কোনোরকম তারা সুনামগঞ্জ শহরের পানসী রেস্টুরেন্টে এসে আশ্রয়গ্রহণ করে।

আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের একজন শোয়াইব আহমেদ বলেন, আমরা সবাই এখানে আটকে আছি। হোটেলের নিচেও পানি ঢুকে গেছে। মহাসড়কগুলোও ডুবে যাওয়ার যান চলাচল বন্ধ। বিদ্যুৎ নেই, আমাদের মোবাইলও বন্ধ হয়ে গেছে। খাবার এবং পানিও শেষ। মোটর চালু করার কোনো সুযোগ নেই তাই ওয়াশ রুমেও যাওয়া যাচ্ছে না। খুবই ভয়াবহ অবস্থা। সবাই এসে এই হোটেলেই আশ্রয় নিয়েছে।

তিনি আরও জানান, আমাদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেউ এখনো যোগাযোগ করেনি। কীভাবে এখান থেকে উদ্ধার হবো জানিনা। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।কীভাবে এখান থেকে উদ্ধার হব জানি না। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আরেক শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান বলেন, রাতে কোনোভাবে এখানে উঠলেও আটকা পড়েছি। আমাদের সঙ্গে নারী সহপাঠীরা খুবই আতঙ্কের মধ্যে আছেন। বিভাগ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে থেকে যোগাযোগ করেছে, তারাও চেষ্টা করছেন।

ঢাকা থেকে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন তাদের সহপাঠী সিদ্দিক ফারুক। তিনি বলেন, আমাদের ডিপার্টমেন্টের ১৯ জন বন্ধু সুনামগঞ্জে গিয়ে আটকা পড়েছেন। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আশা করি দ্রুত তাদের ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের সাথে আমরা কথা বলেছি। তারা সুস্থ আছে। তাদের উদ্ধারে জন্য আমরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। প্রয়োজনে প্রশিক্ষিত উদ্ধারকারী দল পাঠিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্ধারের জন্য আমরা উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। খাবার-পানীয় পাঠানোর অনুরোধ করেছি। তারা চেষ্টা করছেন বলে আমাকে জানিয়েছেন।

 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’