ইউএনওদের নিরাপত্তা দেয়া শুরু করেছে সরকার। আপাতত ৪ জন করে আনসার সদস্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যারা প্রয়োজনমতো কর্মকর্তাদের সাথে সার্বক্ষণিক থেকে অথবা তাদের বাসভবন কিংবা অফিসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। নিরাপত্তা দেয়া শুরু হলেও নিরাপত্তার ধরণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হয় ইউএনওদের। ফলে অনেক প্রভাবশালী মহলের রোষানলে পড়েন তারা, থাকেন নিরাপত্তা ঝুঁকিতে। তাই তারা নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে আসছিলেন বহুদিন ধরে।
কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ী উপজেলার ইউএনও তৌহিদুর রহমান বলেন, আমাদের বিভিন্ন বিষয়ে শুনানি করতে হয়,বালু মহল উচ্ছেদ করতে হয়, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হয়। এসব বিষয়ে পক্ষ বিপক্ষ থাকে। তাই স্বাভাবিকভাবেই আমরা একটা নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকি।
প্রতিবছর জেলা প্রশাসক সম্মেলন বা ডিসি সম্মেলনে, ইউএনওদের পক্ষে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি ডিসিরাই তোলেন। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে ২০১৮ সালের ১৩ই আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠিও দেয়।
এরপর ২ বছর পার হয়ে গেলেও দৃশ্যত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। হয়েছে ইউএনও ওয়াহিদার ওপর হামলার পর। প্রাথমিক একটা ব্যবস্থা নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যা চলমান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ইউএনওদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেয়া শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব ইউএনওদেরই এর আওতায় নেয়া হবে।
টাঙ্গাইল ঘাটাইল উপজেলার ইউএনও অঞ্জন কুমার সরকার বলেন, নিরাপত্তার জন্য আমাদেরকে যদি গানম্যান দেয়া হয় তাহলে আমাদের মাঠ পর্যায়ে কাজ করাটা অনেক সহজ হবে। এছাড়া আমরা আরও সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করতে পারবো।
প্রাথমিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করে সরকার-প্রতিশ্রুত পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে বলে আশা করছেন ইউএনওরা।
কুড়িগ্রাম রৌমারী উপজেলার ইউএনও বলেন, আমাদের নিরাপত্তার জন্য আনসার ব্যাটালিয়ন দেয়ার কথা হয়েছে। এটি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা কাজ করছেন। আর এটি যদি করেয়া হয় তাহলে আমরা সত্যিকারভাবে জনগণের সেবক হিসেবে আমাদেরকে যেভাবে কাজ করতে বলা হয় তা আমরা আরও সাহস নিয়ে করতে পারবো।
সূত্র: DBC News
