Type to search

সাতক্ষীরায় একদিনে শনাক্ত ১০০ ছাড়ালো

সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় একদিনে শনাক্ত ১০০ ছাড়ালো

অপরাজেয়বাংলা ডেক্স: সাতক্ষীরায় একদিনে করোনাভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। সোমবার (৭ জুন) সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে ১৮৭ জনের পরীক্ষা করে ১০৩ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা পজিটিভের সংখ্যা দাঁড়ালো এক হাজার ৯৮৯ জন।

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্র জানায়, দেশের ৬২তম জেলা হিসেবে ২৬ এপ্রিল ২০২০ তারিখে করোনা শনাক্তের পর সাতক্ষীরা এখন করোনার হটস্পট হয়ে উঠেছে। ঈদ পরবর্তী সংক্রমণ বৃদ্ধির যে শঙ্কা ছিল, সেটিই এখন সত্যি হয়েছে। ইতোমধ্যে সাতক্ষীরা জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৯ জন। করোনা উপসর্গে মারা গেছেন আরো ২৩১ জন।

এদিকে শহরের ন্যাশনাল হাসপাতাল, সংগ্রাম হাসপাতাল, ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতাল ও বুশরা হাসপাতাল করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি করা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শহরের ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে সোমবার সাত জন করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি ছিলেন। সিবি হসপিটালে ভর্তি ছিলেন করোনা আক্রান্ত তিন জন এবং উপসর্গ নিয়ে ভর্তি ছিলেন আরও সাত জন। তবে জেলা স্বাস্থ্য ভিাগের অনুসন্ধানে সেখানে সোমবার কমপক্ষে ২২ জন রোগী ভর্তি ছিলেন বলে জানা গেছে।

এদিকে বিজিবি’র কড়া নজরদারি মধ্যে সীমান্ত গলে ভারত থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ দেশে ফিরেছেন বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি গত ২৮ এপ্রিল থেকে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন ৫৪ কিলোমিটার সীমান্ত থেকে দু’জন পাচারকারীসহ ৩৫ জনকে আটক করেছে।

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন হুসাইন শাফায়াত বলেন, জেলায় আশঙ্কাজনকভাবে করোনার রোগী বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১২০ শয্যার করোনা ইউনিট রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে আট শয্যার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) এবং আট শয্যার হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ), কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থা, প্রয়োজনীয় হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা (এইচএফএনসি)। একইভাবে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালেও রয়েছে ৪০ শয্যার করোনা ইউনিট। কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থা চালুর কাজ চলছে। বড় ২৮টি ও ছোট ৭৪টি সিলিন্ডার রয়েছে। অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে রোগীদের পাইপ সিস্টেমের মাধ্যমে। তবে কোনও হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা হাসপাতালে নেই। নেই ভেন্টিলেশন ব্যবস্থাও।

এদিকে প্রশাসন ও পুলিশের কড়া নজরদারিতে সাতক্ষীরায় লকডাউন চলছে। সাধারণ মানুষকে ঘরে ফেরাতে প্রশাসনের প্রাণান্তকর চেষ্টা চালাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। লকডাউনের মধ্যেও ঠেকানো যাচ্ছে না করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি।সূত্র,বাংলাট্রিবিউন