Type to search

সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার দাবী

অভয়নগর

সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার দাবী

অভয়নগর প্রতিনিধি
সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনাসহ পাঁচদফা দাবী জানিয়েছে কৃষক খেতমজুর সংগ্রাম পরিষদ। গতকাল বেলা ১১টার দিকে সংগ্রাম পরিষদের নেতারা এসব দাবীতে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। নির্বাহী কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে ওই কার্যালয়ের নাজির সুব্রত কুমার রায় স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সরকার প্রতিবারের ন্যায় এবারো চাল ক্রয়ে অগ্রাধিকার দিয়েছে। কিন্তু কৃষক যেহেতু চাল উৎপাদন করে না, করে মিল মালিককেরা। ফলে কৃষক সরকারি ধানের মূল্যের সুফল পায় না। অপরদিকে, ধান ক্রয়ে সরকারি লক্ষ্যমাত্রা উৎপাদিত ধানের তুলনায় অপ্রতুল। ধান ক্রয়পদ্ধতির কারণে কৃষক সরকারি গুদামে ধান নিয়ে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়ে। কারণ এখানে রয়েছে ওজনে চুরি, ভিজা, চিটাসহ নানা অজুহাত। তাই প্রত্যেক ইউনিয়নে কেন্দ্র খুলে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে নগদ মূল্যে ধান ক্রয় করার দাবী জানানো হয়। আর এ দাবী উপেক্ষা করলে স্বার্থবাদী, ফড়িয়া মজুতদারেরা লাভবান হয়। উৎপাদনের তুলনায় যে পরিমাণ ক্রয় শিলিং ঠিক করা হয় তাতেও কৃষক নিরুৎসাহিত হন। কৃষক উৎপাদিত ধানের যতটুকু বিক্রি করতে চান তা সরকারিভাবে ক্রয় করার নীতি গ্রহণ করা উচিৎ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কমরেড শহিদুল হক, কম.চৈতন্য কুমার পাল, কম.ইন্তাজ আলী, কম.নূর আলম, কম.অরুুন ঘটক, কম.সুভাষ দাস, কম.তৈমুল বিশ্বাস, কৃষক লাল মোহন পাল, কম.মিরণ তরফদার, কম.বিষ্ণু দাস ও কৃষক বাবুল আক্তার।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, এক মন ধান উৎপাদনের খরচ আসছে একহাজার টাকা ফলে সরকারি মূল্যে কৃষক লাভবান হচ্ছে না। সেকারণে সহায়ক মূল্য ৫০% যোগ করে ধানের মূল্য ১৫০০টাকা নির্ধারণ করে প্রত্যেক ইউনিয়ন থেকে সরাসরি নগদ মূল্যে কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা হোক।
এছাড়া করোনাকালীন পরিস্থিতি কৃষি উৎপাদন রক্ষার জন্য যে প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছিল তা প্রকৃত কৃষকেরা পায়নি বরং দুর্নীতির মাধ্যমে একটি স্বার্থানে¦ষী মহল তা লোপাট করেছে। কৃষিঋণ প্রদানের ক্ষেত্রেও রয়েছে একই ধরনের অবস্থা। অপরদিকে, করোনা পরিস্থিতি কর্মক্ষেত্রে শ্রমজীবী মানুষের জন্য খাদ্য সংকট ও খাদ্য নিরাপত্তার এক বিপর্যয়কর পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছে। এমতাবস্থায় গ্রামীণ শ্রমজীবী মানুষ ও খেতমজুরদের সারাবছর কাজের ব্যবস্থা করতে হবে এবং রিলিফের পরিবর্তে সেনাবাহিনী বা পুলিশবাহিনীর রেটে দেওয়া রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
করোনাকালীন সময় কৃষি উৎপাদনের জন্য প্রদত্ত প্রণোদনা প্রকৃত কৃষককে দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে এবং বিনা সুদে কৃষিঋণ কৃষক ও বর্গাচাষিদের দিতে হবে। করোনাকালে কৃষক ও গ্রামীণ শ্রমজীবী মানুষের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। সেকারণে প্রতি উপজেলা থেকে করোনা নমুনা সংগ্রহ এবং প্রত্যেক ইউনিয়নে এমবিবিএস ডাক্তার নিয়োগসহ পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা সুযোগ দেওয়া ছাড়া গ্রামীণ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্ভব নয়।

 

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *