শোকের মাসের প্রথম প্রহর

-বিলাল হোসেন মাহিনী
বাঙালির এই শোকের দিনে মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থণা, তিনি যেনো ১৫ আগস্টে শাহাদাত বরণকারী সকলকে ক্ষমা করে দিয়ে জান্নাতের মেহমান বানিয়ে নেন। আমিন। আজকের দিনে এই মহান নেতাকে হৃদয়ের সব অর্ঘ্য আর শ্রদ্ধা নিবেদন করবে বাঙালি জাতি। তাই আজকের দিনটি শোকের দিন- সেই শোককে শক্তিতে পরিণত করার দীপ্ত শপথেরও দিন। বঙ্গবন্ধুর নীতিকে বুকে ধারণ করে, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের বাংলাদেশ গঠনে যারযার অবস্থান থেকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায় দায়িত্ব পালন করতেহবে। আগস্ট আমাদের সেই শিক্ষাই দেয়। পনেরো আগস্টের জাতীয় শোক আজ জাতীয় শক্তি ও জাগরণে উদ্ভাসিত। বাংলার চিরায়ত কবি-লেখক ও ধ্যানী-জ্ঞানীরা চিরকাল সেই শক্তি-দর্শনেরই জয়গান করেছেন, ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান, ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।’
বাঙালির মহান নেতা, আমাদের স্বাধীনতার স্থপতি, বাঙালি জাতিসত্তার প্রাণ। সেই মহাবীরের-ই প্রাণ দিতে হলো এদেশের এক শ্রেণির মুনাফিক ও বিপথগামী সেনা কর্তাদের হাতে। এখানেই শেষ নয়, বাঙালি জাতি যেনো তাদের স্বাধীন সত্তা নিয়ে সামনে আগাতে না পারে, এ জন্য বঙ্গবন্ধুর রক্ত ও সহচার্যে থাকা সকল সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সীমারের মতো বঙ্গবন্ধুর শিশুপুত্র রাসেলকেও হত্যা করেছিলো হায়েনার দল। তাইতো ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির জন্য মহাশোকের দিন। বেদনা বিধুর দিন। তবে শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে এগিয়ে যেতে হবে বাঙালিকে। শান্তি, সমৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর চিন্তা ও দর্শন হোক আমাদের পাথেয়। এই প্রত্যাশায়।