Type to search

লুটেরা, ঘুষখোরদের বিরুদ্ধে বজ্রকণ্ঠ ছিলো বঙ্গবন্ধুর

জাতীয়

লুটেরা, ঘুষখোরদের বিরুদ্ধে বজ্রকণ্ঠ ছিলো বঙ্গবন্ধুর

অপরাজেয়বাংলা ডেক্স: দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে বজ্রকণ্ঠ ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের।

লুটেরা, ঘুষখোর, অর্থপাচারকারীদের বাংলার মাটি থেকে উৎখাতের কথা বলেছেন বার বার। বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থনেতিক বা সামাজিক বিভিন্ন সূচকে অনেক এগিয়ে গেলেও সুশাসন আর ঘুষ দুর্নীতির সূচকে বেশ পিছিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা।

যে বজ্রকণ্ঠ দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলো, স্বাধীনের পর সে কণ্ঠ সোচ্চার হয় দুর্নীতি নির্মূলে। স্বাধীনতার পরই বঙ্গবন্ধু দুর্নীতিকে দেশের বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেন। তাই দুর্নীতিবাজদের প্রতি ছিলো তার কঠোর হুঁশিয়ারি।

পাঁচ দশকে বাংলাদেশ এগিয়েছে অনেক। মাথাপিছু আয়, শিশু ও মাতৃ মৃত্যু হার, বাল্য বিয়েসহ আর্থ সামাজিক নানা সূচকে দেশ এগিয়েছে, কিন্তু বৈশ্বিক দুর্নীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান এখনো হতাশাজনক।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের সবশেষ সূচকে উঠে এসেছে, বিশ্বে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম। যাকে লজ্জাজনক বলা হচ্ছে।

টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন ছিল তা বাস্তবায়ন হয়নি। তিনি বলে ছিলেন দুর্নীতিবাজদের দেশ থেকে উৎখাত করার কথা কিন্তু এখন উলটো দুর্নীতিবাজদের লাইসেন্স দেয়া হয় এবং বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে তাদের আরও উৎসাহ দেয়া হয়।

দুদকে আসা গত দশবছরের পরিসংখ্যাণ অনুযায়ী, প্রতিবছরই বাড়ছে দুর্নীতির অভিযোগ। ২০১১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দুর্নীতির মামলা হয়েছে দুই হাজারের বেশি। এসব মামলায় আসামিদের তালিকায়, আমলা, জনপ্রতিনিধি, সরকারি প্রকৌশলী, রাজনীতিক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশাজীবী রয়েছেন।

দুদক কমিশনার জহুরুল হকও স্বীকার করেন, ঘুষ দুর্নীতি বন্ধ করা যায়নি। দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক বলেন, আমরা আজ পর্যন্ত ঘুষ দুর্নীতি বন্ধ করতে পারিনি। এটাকে একবারে বন্ধ করা যাবে না, আস্তে আস্তে পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু দুর্নীতি বন্ধের কথা বলেছেন, সামাজিক সম্যতার কথা বলেছেন। আজকে দেখা যাচ্ছে কিছু মানুষ হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক আবার অনেকে ঠিকমত চলতেই পারে না।

তবে সমাজে দুদক একটা বার্তা দিতে পেরেছে। দুদক কমিশনার বলেন, আমরা একটা মেসেজ দিতে পেরেছি যে একটা কমিশন আছে যারা একদিন না একদিন ঠিকই দুর্নীতিবাজদের ধরবে, জেল-জরিমানা করবে, জেল হবে, অপমান হবে। যদিও আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই কমিশনের কারণে এখনো দুর্নীতিবাজরা দুর্নীতি করতে ভয় পায়।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন না হলে সুশাসনের সূচকে পিছিয়ে থাকবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা।

সূত্র,ডিবিসি নিউজ