Type to search

যশোরে বোরো ধান চাল সংগ্রহ অভিযান মুখ থুবড়ে পড়েছে

জাতীয়

যশোরে বোরো ধান চাল সংগ্রহ অভিযান মুখ থুবড়ে পড়েছে

কামরুল ইসলাম
যশোরে এ বছর বোরো ধান চাল সংগ্রহ অভিযান মুখ থুবড়ে পড়েছে। সরকারি মূল্য ও বাজার মূল্য প্রায় সমান্ত্রালে অবস্থান করায় এ অবস্থায় পরিণত হয়েছে ।
জানা গেছে, সরকারি গুদামে এ বছর ধানের ম্যূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৮০ টাকা মণ আর চাল ৪০ টাকা কেজি। বাজার ঘুরে দেখা গেছে মোটা ধান ৯শ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আর চালের মূল্য কেজি প্রতি ৩৮ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে নানা রকম ঝামেলা পোহাতে হয়। বাজার মূল্য ভাল থাকায় কৃষকেরা গুদামে ধান বিক্রি করছে কম।
এ বছর যশোর জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৭২৮ মে.টন আর চাল ২৬ হাজার ৭৪৪ মে.টন। গত ৩০ জুন পর্যন্ত হিসাব করে দেখা যায় এ পর্যন্ত লক্ষমাত্রা অর্জণ হয়েছে মাত্র ৮.৮৪ শতাংশ। মে মাসে শুরু হয়েছে সংগ্রহ অভিযার আর ৩১ আগষ্ট পয়র্ন্ত অভিযান তা চলবে।
বিভিন্ন উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার সদর উপজেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষমাত্রা ৩ হাজার ১৩৮ মে.টন, চাল ৬ হাজার ২৫৫ মে.টন,অর্জিত হয়েছে ধান ১৬০ মে.টন ও চাল ৪ হাজার ৩৯.৪৭০ মে.টন। মনিরামপুর উপজেলায় ধানের লক্ষ মাত্রা ৩ হাজার ৮৯২ মে.টন, চাল ২ হাজার ৫২৫ মে.টন অর্জিত হয়েছে ধান শূন্য এবং চাল ১ হাজার ১৫২ মে.টন। কেশবপুরে লক্ষমাত্রা ধান ১ হাজার ৩৬০ মে.টন চাল ১ হাজার ১৬ মে.টন,অর্জিত হয়েছে ধান ৪২০ মে.টন আর চাল ৩৭০ মে.টন। ঝিকোরগাছা লক্ষমাত্রা ধান ২ হাজার ৭১৫ মে.টন চাল ১ হাজার ৬০৮ মে.টন, অর্জিত হয়েছে ধান ৪০৫ মে.টন ও চাল ২ হাজার ৩৪২ মে. টন। শার্সায় লক্ষমাত্রা ধান ৩ হাজার ৩২৫ টন, চাল ৬ হাজার ১৭১ টন, অর্জিত হয়েছে ধান ২১৯ মে.টন চাল ২ হাজার ৩৪২ মে.টন। চৌগাছা লক্ষমাত্রা ধান ২ হাজার ৪৭১ মে.টন চাল ১ হাজার ৬৩১ মে.টন, অর্জিত হয়েছে ধান ২৪৭ মে.টন চাল ১ হাজার ৮ মে.টন। বাঘারপাড়ায় লক্ষমাত্রা ধান ১ হাজার ৯৭৫ মে.টন চাল ৩২৬ মে.টন, অর্জিত হয়েছে ধান ১২৬ মে.টন আর চাল ১২৬ মে.টন। অভয়নগরে ধানের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৫২ মে.টন আর চাল ৭ হাজার ২১০ মে.টন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিত্যানন্দ কুন্ড বলেন, ‘ধানের বাজার মূল্য ও
গুদাম মূল্য প্রায় সমান যে কারনে কৃষকেরা গুদামে ধান বিক্রি করতে আগ্রহ হারাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এ অবস্থায় ধান সংগ্রহের পুরোপুরি লক্ষমাত্রা অর্জিত হবেনা। ৫০ শতাংশ অর্জিত হতে পারে। তবে চালের লক্ষমাত্রা পুরোপুরি অর্জিত হবে।