করোনা মোকাবেলায় সরকারের পরিকল্পনা আছে, নেই বাস্তবায়ন। সিদ্ধান্তহীনতার কারণে দিন দিন বাড়ছে করোনার সংক্রমণ, সেই সাথে বাড়ছে মৃত্যু। মে মাসের শেষের দিকে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যায়। বাড়তে থাকে হাসপাতালে রোগীর চাপ। মৃত্যুর পরিসংখ্যানে ঢাকা বিভাগকে ছাড়িয়ে যায় রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে। এর কারণ হিসেবে অন্যান্য বিভাগ ও জেলাগুলোতে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার অভাবকে দায়ী করছেন কোভিড নাইন্টিন সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরী কমিটির সদস্যরা।
কোভিড নাইন্টিন সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি কমিটির সদস্য ডা. ইকবাল আর্সলান বলেন, ‘জীবন-জীবিকা এবং সংক্রমণের মধ্যে যে সমন্বয় দরকার সেই সমন্বয়ের জায়গাটা আমরা এখনও ঠিক করে উঠতে পারিনি। মানুষের জন্য খাদ্য সহযোগিতা নিশ্চিত না করতে পারলে মানুষ তাদের জীবনের জন্যই বাইরে বের হতে বাধ্য হবেন।’
গত এক সপ্তাহে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে রাজধানীতে। তাই ঢাকাকে দেশের অন্যান্য জায়গা থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে এর আশপাশের সাতটি জেলায় ৩০শে জুন পর্যন্ত লকডাউন দেয়া হয়। কিন্তু সেই লকডাউন কতটুকু সফল?
অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, গাবতলী থেকে শুরু করে আব্দুল্লাহপুর, যাত্রাবাড়ী যে অবস্থা চলছে এই অবস্থা দেখলে কি বলা যাবে যে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে?
কমিটির আরেক সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী একটা নির্দেশনা দিয়েছিলেন যে, প্রত্যেক জেলায় আইসিইউ’র ব্যবস্থা করতে হবে। এই নির্দেশনার পরে কতগুলো আইসিইউ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে? নাকি উনি যা বলেন তা কেউ প্রতিপালন করল কি না করল তা দেখার কেউ নাই।’
গত দেড় বছরেও স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা যায়নি বলে আক্ষেপ কোভিড নাইন্টিন সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরী কমিটির সদস্যদের। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা না গেলে বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ কমানো সম্ভব নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।সূত্র,ডিবিসি নিউজ