ওই তরুণী বগুড়া শহরের একটি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্রী। শহরের একটি ছাত্রীনিবাসে থেকে পড়াশোনা করতেন। তাঁর বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায়। আত্মহত্যা করতে গিয়ে আহত তরুণের বাড়ি কুষ্টিয়া সদরের দহকুল এলাকায়।
পুলিশ, হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তরুণীর সঙ্গে দেখা করতে গতকাল রোববার কুষ্টিয়া থেকে বগুড়ায় আসেন ওই তরুণ। দুজনের মধ্যে একপর্যায়ে মনোমালিন্য হয়। এর জেরে তরুণী ছাত্রীনিবাসে ফিরে সন্ধ্যায় বিষপান করেন। আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে গতকাল রাত সাড়ে আটটায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ওই তরুণ হাসপাতালে এসে এই শোক সইতে না পেরে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে হাসপাতালের চতুর্থ তলা থেকে লাফ দেন। কিন্তু দোতলা কার্নিশে আটকা পড়েন। প্রাণে বেঁচে গেলেও তাঁর পা ভেঙে গেছে, ক্ষতবিক্ষত হয়েছে শরীর। পরে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে একই হাসপাতালে ভর্তি করায়। আজ সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য নাহিদা খাতুনের লাশ যখন মর্গে রাখা ছিল, তখন একই হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন তরুণ।