ভবদহ অঞ্চলে ভারী বর্ষণেশত শত ঘর বাড়ি পনিতে প্লাবিত

প্রিয়ব্রত ধর:: ভবদহ অঞ্চল বর্তমানে জলাবদ্ধ রুপে পরিণত হয়েছে। বরাবর এ অঞ্চলে জলাবদ্ধতা থাকলেও গত রাতের ভারি বর্ষণে তা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। রবিবার রাত ৮ ঘটিকা থেকে শুরু হওয়া ভারি বর্ষণে ইতি মধ্য অনেক বাড়িতে পানি।
গত দুই দিনে পানি বেড়েছে ১৯ সেমি:
নতুন করে তলিয়ে গেছে ৪০০-৫০০ বাড়ি-ঘর ও স্কুল-কলেজ।
ভারি বর্ষণে গত দু’ দিনে ভবদহ এলাকার বিল কেদারিয়া ও বিল বোকড় এলাকায ১৯ সেমি এর একটি রেকর্ড পরিমান পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ভবদহের নাইন ভেন্টের জোয়ার ঢোকা ও অতি বৃষ্টি মূলত: এই হঠাৎ জলবৃদ্ধির কারন। আর ৬ সেমি জল বৃদ্ধি পেলেই গতবারের সমান জলাবদ্ধতা হবে যা মাত্র তিন দিনের আপেক্ষা মাত্র। কারন, যশোর সদর, বিল হরিণা সহ আরো ৫ বিলের জল গড়িয়ে আসছে ধীরে ধীরে ভবদহের দিকে।
অত্র এলাকার অপেক্ষাকৃত নিচু বাড়ি ঘর গুলির উঠান এখন পানি বন্দী।
জলাবদ্ধ এলাকা হওয়াই এ অঞ্চলেন মানুষের প্রধান পেশা হয়ে দাড়িয়েছে মৎস্য চাষ কিন্তু রাতেই এ পানি বৃদ্ধি পাওয়াই তাদের ঘের ভেড়ি তলিয়ে গিয়েছে। ইতি মধ্য চোখে পড়ছে চাষিরা তাদের মৎস্য ঘেরে নেট পাটা দিতে ব্যাস্ত সময় পার করছে।
এলাকা ঘুরে দেখা যায় অপেক্ষাকৃত নিচু বাড়ি গুলো এখন পানির নিতে। অল্প পানি বাড়লেইতা ঘরে প্রবেশ করবে। এ মত অবস্থাতে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।এই বুঝি ঘরে পানি উঠলো।
এ বিষয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় ভবদহের অব্যাবস্থাপনার কারণে আমাদের এ পরিণতি। ভবদগ গেটে বাঁধ প্রদান করে সেচের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন করার চেষ্টায় আরো ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি আমরা। ওই টুকু সেচে কি ভাবে এত বড় জলাবদ্ধতার সমাধান হবে আমাদের বুজে আসে না। বলছিলেন ভবদহ পাড়ের মানুষ।
এ বিষয়ে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক রণজিৎ বাওয়ালী জানান কিসের পাম্ব সেচ,এটাতো লোক দেখানো মাত্র,২৭ বিলের পানি কি আর সেচের মাধ্যমে সমাধান হয়। দরকার টি আর এম প্রকল্প চালু করা। তা হলেই মিলতে পারে মুক্তি। অন্যথায় জলা ভুমিতে পরিণত হবে ভবদহ অঞ্চল।