Type to search

বিদ্যুৎ বিহীন অভয়নগরে বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত

অভয়নগর

বিদ্যুৎ বিহীন অভয়নগরে বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত

বিলাল মাহিনী : যশোরের অভয়নগর উপজেলার ভৈরব উত্তর-পূর্ব জনপদের মানুষ অতিষ্ঠ গত দুইদিন ধরে চলমান বৃষ্টিতে। নিম্নচাপের প্রভাবে সারা আকাশ কালো মেঘে ঢাকা, টিপ টিপ বৃষ্টি, কঠোর বিধিনিষেধ, জরুরি প্রয়োজনেও ঘরের বাইরে যেতে পারছে না মানুষ। বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নষ্ট হচ্ছে ফ্রিজে রাখা মাছ মাংস সবজিসহ খাবার। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শশার ক্ষেত, শশা চাষীদের কপালে চিন্তার ভাজ। ঘরের পয়সা খরচ করে শশা চাষে নেমে এখন অন্ধকার দেখছে তারা। প্রতিদিন সর্বনিম্ন এক মন থেকে শুরু করে বিশ মন পর্যন্ত শশা বিক্রি করে থাকে এই শশার মৌসুমে। শশা গাছের গোড়ায় পানি জমে নষ্ট হচ্ছে শিকড়,শশা গাছ মারে যাওয়ার আশঙ্কা করছে চাষীরা। শশা চাষী বিপুল বিশ্বাস জানালেন, মাথায় বাড়ি হয়ে গেল, পুঁজিবাটা শেষ করে শশা লাগাইছিলাম গাছ সব মরে যাবে এবার। মৌসুমের শুরুতেই ধাক্কা। বিভিন্ন শশার বাজারে খবর নিয়ে জানা যায়, বৃষ্টির আগে প্রতিদিন প্রায় ৫-১০ ট্র্যাক শশা প্রতি হাট থেকে দেশের বিভিন্ন বড় বড় শহরে পাঠানো হয়েছে কিন্তু গত দুইদিনে এক ট্র্যাক শশাও হচ্ছে না। এই বৃষ্টির পরে অবস্থার আরো অবনতি হতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা। প্রত্যেক শশার বাজারে প্রায় ১০০ জন শ্রমিক কাজ করে তারাও বেকার বসে আছে। এই জনপদে প্রায় শতাধিক শশার বাজার বসে প্রতিদিন। সকাল আটটা থেকে শুরু করে তা দুপুর বারোটা পর্যন্ত চলে। চলছে না যানবাহন। ভ্যান,ইজিবাইক চালিয়ে যাদের জীবন চলে তারাও বেকার বসে আছে। যাত্রী নেই রাস্তায়, বৃষ্টির কারণে ঘরের বাইরে যেতে পারছে না কেউ জরুরি প্রয়োজনেও। চিন্তিত তারা খাবে কি? সারাদিন ভ্যান চালিয়ে উপার্জিত অর্থে চাল ডাল কিনে রান্না খাওয়া চলে। শিশু কিশোরদের চলছে বন্দী জীবন। ঘরের বের হতেই কাঁদায় ভরা পথ, খেলার মাঠেও কেউ নেই। অসহ্য এক পরিস্থিতিতে কাটছে তাদের সময়। বিদ্যুৎ না থাকায় একমাত্র বিনোদন ব্যবস্থা টিভিতেও রাখতে পারছে না চোখ। কিশোর পুষ্পরাজ বিশ্বাস বলল, আর ভালো লাগছে না, কতক্ষণ ঘরে বসে থাকবো? কারেন্টও নেই। এভাবে বৃষ্টির প্রভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত। অবরুদ্ধ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *