Type to search

বাংলাদেশের বড় বড় প্রকল্প ও প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বাড়াতে চায় তুরস্ক

জাতীয়

বাংলাদেশের বড় বড় প্রকল্প ও প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বাড়াতে চায় তুরস্ক

 

অপরাজেয় বাংলা ডেক্স

মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকায় পৌঁছান তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এর পর বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক হয় মেভলুতের।.

গত সেপ্টেম্বরে আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসের নতুন ভবন উদ্বোধন হয়েছে এবং আজ তুরস্কের নতুন দূতাবাস ঢাকায় উদ্বোধন করা হবে বলে তিনি জানান। বুধবার বিকালে বারিধারায় নতুন দূতাবাস উদ্বোধন করবেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

‘সবার জন্য মঙ্গলজনক’ এমন সময়ে বঙ্গবন্ধু ও কামাল আতাতুর্কের আবক্ষ মূর্তি দুই দেশে উন্মোচন করা হবে বলেও জানান মোমেন।.

বাংলাদেশকে ‘এশিয়ার রাইজিং স্টার’ হিসেবে তুলনা করে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তুরস্কের অনেক বড় কোম্পানি শুধু টেক্সটাইল নয় অন্যান্য খাতেও বর্তমানে বাংলাদেশ সম্পর্কে আগ্রহী। আমরাও তুরস্কের কোম্পানিগুলোকে এদেশে আসতে উৎসাহ দিচ্ছি।

তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি নিকট ভবিষ্যতে আমাদের বাণিজ্য ২০০ কোটি ডলার হবে যা গত বছর প্রায় ১০০ কোটি ডলার ছিল।

বাংলাদেশ বর্তমানে বিভিন্ন বৃহৎ প্রকল্প হাতে নিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, তুরস্কের কন্সট্রাকশন কোম্পানিগুলো পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম এবং চীনের পরেই তুরস্কের অবস্থান। এখাতে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।

প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের প্রতিরক্ষা পণ্যের গুণগত মান অত্যন্ত ভালো, দাম অত্যন্ত সুলভ এবং এগুলো কেনার জন্য কোনও শর্ত আরোপ করা হয় না।  আমি নিশ্চিত বাংলাদেশ এই সুবিধাগুলোর সুযোগ নেবে।

প্রতিরক্ষা খাতে প্রযুক্তি হস্তান্তর ও যৌথ উৎপাদনে তুরস্ক রাজি আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সবকিছু তৈরি করি না। তবে ৭৫ শতাংশের বেশি আমরা উৎপাদন করি। এর কারণ হচ্ছে এর আগে যখন সমস্যা চলছিল তখন আমাদের বন্ধুরাও আমাদের প্রতিরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ করেনি। সেজন্য আমরা বেশিরভাগ পণ্য নিজেরাই উৎপাদন করি।

এ খাতে তুরস্ক অনেক বিনিয়োগ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, কয়েকটি দেশের সঙ্গে আমরা যৌথভাবে পণ্য উৎপাদন করছি।.

রোহিঙ্গা বিষয়ে তুরস্ক বাংলাদেশকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে জানিয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ বিষয়ে যথেষ্ট করছে না। আমরা শুধু কথা শুনতে চাই না। আমরা কাজেও তার প্রতিফলন দেখতে চাই।

উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তুরস্ক সফরের সময়ে ওই দেশের প্রেসিডেন্ট সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব দেন। যার মধ্যে রয়েছে বিদ্যমান শুল্কবাধা এড়িয়ে নতুন পণ্য, বস্ত্র, ওষুধ ও অন্যান্য খাতের বিনিয়োগ। এছাড়া তুরস্কের আর্থিক সহযোগিতায় একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের প্রয়োজনীয় জমি বরাদ্দের জন্য তুরস্কের রাষ্ট্রপতি প্রস্তাব দেন।

সূত্র,  বাংলা ট্রিবিউন