Type to search

বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্জনের যত স্বীকৃতি

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্জনের যত স্বীকৃতি

শত বাধা বিপত্তিকে পাশ কাটিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের বুকে দেশকে পরিচিত করেছেন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে।

দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে তাঁর নিরন্তর পরিশ্রম যেমন সারা বিশ্বে প্রশংসা কুড়িয়েছে, তেমনি তার ঝুলিতে যুক্ত হয়েছে অনেক আন্তর্জাতিক সম্মাননা ও পুরস্কার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ৪০ টি আন্তর্জাতিক সম্মাননা  ও পুরষ্কার পেয়েছেন। বিভিন্ন সূচকে দেশের অগ্রগতির কারণে এ সম্মান অর্জন করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

প্রথমবার ক্ষমতায় এসে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ী এবং বাঙালীর দুই দশকের বেশি সময়ের যুদ্ধাবস্থার অবসান ঘটিয়ে ১৯৯৭ সালের ডিসেম্বরে ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অবদান স্বরূপ ১৯৯৮ সালে ইউনেস্কো হোফোয়েট বোইগনি শান্তি পুরষ্কারে ভূষিত করেন তাকে।

একই বছরে অল ইন্ডিয়া প্রেস কাউন্সিল থেকে মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ড এবং মহাত্মা এম কে গান্ধী ফাউন্ডেশন থেকে এম কে গান্ধী অ্যাওয়ার্ড পান বঙ্গবন্ধুকন্যা। ক্ষুধার বিরুদ্ধে আন্দোলনে অবদান রাখায় জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ১৯৯৯ সালে শেখ হাসিনাকে সম্মানজনক সেরেস মেডেল প্রদান করে।

রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে অবদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের র্যা ন্ডলপ ম্যাকন উইমেন্স কলেজ ২০০০ সালে মর্যাদাসূচক পার্ল এস বাক পুরষ্কার দেয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। জনগণের জন্য রাজনীতিতে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০৬ সালে মাদার তেরেসা আজীবন সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড এবং ২০১০ সালে ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পুরষ্কার পান বঙ্গবন্ধুকন্যা।

এমডিজি অর্জনে বিশেষ করে শিশু মৃত্যুহার হ্রাসে অবদানের জন্য ২০১০ সালে জাতিসংঘ অ্যাওয়ার্ড পান শেখ হাসিনা। শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনেশন অ্যান্ড ইমিউনিজেশন ২০১২ সালে গ্যাভি অ্যাওয়ার্ড এবং ২০১৯ সালে ভ্যাকসিন হিরো অ্যাওয়ার্ড পান  শেখ হাসিনা।

নারী ও শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহারের জন্য ২০১১ সালে সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড পান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্ধারিত সময়ের আগেই সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য শেখ হাসিনাকে ২০১৩ সালে জাতিসংঘ পুরষ্কার দেয় জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা। ২০১৪ সালে তৃণমূল পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারসহ বিভিন্নখাতে অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে সাউথ সাউথ ভিশনারি অ্যাওয়ার্ড দেয় জাতিসংঘ।

নারী শিক্ষায় অবদানের জন্য জাতিসংঘের নারী বিষয়ক সংস্থা ২০১৪ সালে ট্রি অব পিস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে শেখ হাসিনাকে। একই সংস্থা ২০১৬ সালে প্রদান করে প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন পুরষ্কার।

পরিবেশ সুরক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখায় ইউএনইপি ২০১৫ সালে চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ পুরষ্কার দেয় শেখ হাসিনাকে। একই বছর এসডিজি অর্জনে আইসিটির ব্যবহারের জন্য ‘টআইসিটি সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করে আইটিইউ।

২০১৮ সালে রোহিঙ্গা সমস্যায় ভূমিকা রাখায় দুটি আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড পান বঙ্গবন্ধুকন্যা। গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশনের দেয় স্পেশাল ডিস্টিংশন অ্যাওয়ার্ড এবং ইন্টার প্রেস সার্ভিসের পক্ষ থেকে পান আইপিএস ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড।

২০১৯ সালে ইউনিসেফ চ্যাম্পিয়ন অব ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট পুরষ্কার পান শেখ হাসিনা। এছাড়া কোলকাতা এশিয়াটিক সোসাইটির পক্ষ থেকে ঠাকুর শান্তি পুরষ্কার এবং ড. কালাম মেমোরিয়াল ইন্টারন্যাশনাল থেকে ড. কালাম এক্সিলেন্সি অ্যাওয়ার্ড পান বঙ্গবন্ধু কন্যা।

সবশেষ জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন নেটওয়ার্ক দারিদ্র দূরীকরণ, পৃথিবীর সুরক্ষা এবং সবার জন্য শান্তি সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এসডিজি অগ্রগতি পুরষ্কার প্রদান করেছে।

এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও ইন্সটিটিউট শান্তি প্রতিষ্ঠা , গণতন্ত্র সমুন্নত ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য বিভিন্ন সময় সম্মানিত করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।সূত্র,ডিবিসি নিউজ