Type to search

নেশাগ্রস্ত স্বামীকে গলা কেটে হত্যা করেন স্ত্রী

জাতীয়

নেশাগ্রস্ত স্বামীকে গলা কেটে হত্যা করেন স্ত্রী

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে সংবাদ পায়, বেলাব উপজেলার নিলক্ষীয়া গ্রামের একটি বাড়ির পাশে এক ব্যক্তির গলাকাটা লাশ পড়ে আছে। রাত দুইটার দিকে বেলাব থানার ওসি তানভীর আহমেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিশ্চিত হন, লাশটি ওই বাড়ির গৃহকর্তা অহিদুজ্জামানের। এর আগে তাঁর স্ত্রী আয়েশা আক্তার প্রতিবেশীদের জানান, কে বা কারা তাঁকে হত্যা করে সেখানে ফেলে গেছেন। ওই সময় ঘটনাস্থলে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল আমিন।

আয়েশার স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, অহিদুজ্জামান একজন মাদকসেবী। তিনি নিয়মিত গাঁজা সেবন করতেন। প্রতি রাতে আয়েশাকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। গতকাল রাত নয়টার দিকে ঘরে এসে আয়েশার সঙ্গে ঝগড়া ও গালিগালাজ শুরু করেন তিনি। কথা–কাটাকাটি একসময় হাতাহাতিতে রূপ নেয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় অহিদুজ্জামান ঘরে থাকা দা নিয়ে আয়েশাকে কোপ দিতে যান। এ সময় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে আয়েশা তাঁর হাত থেকে দা ছিনিয়ে নিয়ে তাঁর গলায় কোপ দেন। এতে তিনি খাটের ওপর লুটিয়ে পড়েন এবং কিছুক্ষণের মধ্যে মারা যান।

আয়েশা পুলিশকে জানিয়েছেন, অহিদুজ্জামানের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি লাশটি কোলে তুলে বাড়ির উঠানে ফেলে আসেন। ঘরে ফিরে রক্ত লেগে থাকা খাটের কম্বল ও কাঁথা একটি বালতিতে করে নলকূপে নিয়ে ধুয়ে ফেলেন। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা ধোয়ার পর মুছে খাটের নিচে রেখে দেন। সবকিছু ঠিকঠাক গুছিয়ে রেখে তিনি আবার শুয়ে পড়েন। জানাজানি হওয়ার পর বাইরে বেরিয়ে প্রতিবেশীদের জানান, কে বা কারা তাঁর স্বামীকে হত্যা করেছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল আমিন বলেন, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আয়েশা স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আজ সকালে নিহতের ছেলে ইব্রাহীম খলিল (৩৩) বাদী হয়ে মা আয়েশাকে আসামি করে বেলাব থানায় হত্যা মামলা করেছেন। ওই মামলায় আয়েশাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সূত্র: প্রথম আলো

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *