Type to search

নানা আয়োজনে আজ পালিত হচ্ছে সুন্দরবন দিবস

জাতীয়

নানা আয়োজনে আজ পালিত হচ্ছে সুন্দরবন দিবস

প্রতি বছর নানা আয়োজনে দিবসটি পালন করা হলেও চোরাশিকারিদের কবল থেকে বন্যপ্রাণির সুরক্ষার বিষয়টি এখনো রয়ে গেছে উপেক্ষিত। ফলে দিন দিন কমছে সুন্দরবনের জীবজন্তুর সংখ্যা। তাই চোরাশিকারিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি পরিবেশকর্মীদের।

খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর ও বরগুনা জেলার ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন। তবে চোরাশিকারিদের লোভের শিকার হয়ে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির অপার লীলাভূমি এই বনের পরিবেশ। শিকারিদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না জলজ প্রাণিও।

রয়েল বেঙ্গল টাইগার শিকার করে চামড়া ও হাড় বিদেশে পাচার করছে চোরাশিকারিরা। এতে কমছে বাঘের সংখ্যা। বন বিভাগের ২০২০ সালের জরিপ অনুযায়ী, সুন্দরবনে রয়েছে ১১৪টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার। অথচ ২০০৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪৪০। রক্ষা পাচ্ছে না নিরীহ হরিণগুলোও।

বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা দ্রুত এসব চোরাশিকারিকে আইনের আওতায় আনা না হলে ভবিষ্যতে হুমকির মুখে পড়বে বনজ সম্পদ।

সুন্দরবন একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা খন্দকার রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, মাংস, চামড়া এসব পাচার আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরে পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে। এসব কাজ দ্রুত বন্ধ না হলে অনেক প্রাণি বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী বলেন, সুন্দরবনে যত অনিয়ম হচ্ছে তা নিয়ন্ত্রণ করে বাইরের একটি বড় চক্র। এদের হাতও অনেক লম্বা। আমি মনে করি প্রশাসনের এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া উচিত।

বন্যপ্রাণি শিকারের কারণে শাস্তির ব্যবস্থা থাকলেও আইনের ফাঁকফোকর গলিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে তারা। ফলে বাড়ছে সুন্দরবনে অপরাধ প্রবণতা।

বন বিভাগের সাবেক আইনজীবী অ্যাডভোকেট কে এম ইকবাল হোসেন বলেন, অনেকে মাছ শিকার করার নামে অবৈধ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।  এদেরকে রেড অ্যালার্ট জারি করে বনের ভেতর থেকে বের করার পদক্ষেপ নিতে হবে।

৩৩৪ প্রজাতির গাছ-গাছালি রয়েছে সুন্দরবনে। যার শোভা মুগ্ধ করে পর্যটকদের। এই বনের আশ্রয়ে রয়েছে ৩১৫ জাতের পাখি। রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণি। ঝড়-জলোচ্ছ্বাসসহ যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে  বুক পেতে আগলে রাখে এই ম্যানগ্রোভ বনটি। এর সুরক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া না হলে বিপন্ন হবে পুরো অঞ্চলের প্রাণ ও প্রকৃতি।

সূত্র, DBC বাংলা