Type to search

দেশে লকডাউনের পরিকল্পনা নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

জাতীয়

দেশে লকডাউনের পরিকল্পনা নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

 

অপরাজেয় বাংলা ডেক্স

দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার সক্ষম হয়েছে- মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা নিয়ন্ত্রণে আমরা সক্ষম হয়েছি। আর নতুন ভেরিয়েন্টের নতুন ধরনের কোনও চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে কিনা সে নিয়ে সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করছে। নতুন চিকিৎসা থাকলে সেটাও আমরা গ্রহণ করবো।’

আজ বুধববার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর আশকোনা কোয়ারেন্টিন সেন্টারে জিন এক্সপার্ট টেস্ট এবং ভ্রাম্যমাণ আরটি-পিসিআর ল্যাব উদ্বোধন করতে এসে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

দেশের নানা উন্নয়ন সংস্থা, বেসরকারি সংস্থাসহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতার করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সবারসহযোগিতা নিয়ে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি এবং চিকিৎসায় এগিয়ে যাচ্ছি। নতুন নতুন উন্নয়ন হচ্ছে চিকিৎসা খাতে।’.

মন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড চিকিৎসায় প্রথমেই টেস্ট করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুরুর দিকে দেশে মাত্র একটি আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরি ছিল। সেখান থেকে বর্তমানে ১১০টির বেশি ল্যাব রয়েছে। পাশাপাশি আরও আধুনিক টেস্টের জন্য অ্যান্টিজেন এবং জিন এক্সপার্টের মাধ্যমে শুরু করা হয়েছে কয়েকটি জেলায়। অ্যান্টিজেন টেস্ট সব জেলাতেই করা হবে। একইসঙ্গে প্রতিটি জেলা-উপজেলায় জিন এক্সপার্ট মেশিন রয়েছে যেটা টিবি ( যক্ষ্মা) শনাক্তের কাজে ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে ৩৩টি জিন এক্সপার্ট মেশিন করোনা শনাক্তের কাজে ব্যবহার হচ্ছে। ভবিষ্যতে যদি প্রয়োজন হয় আরও বাড়ানো হবে।’

পরীক্ষা পদ্ধতির তালিকাতে আরেকটি সংযোজন হলো জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজ ভ্রাম্যমাণ আরটি-পিসিআর মোবাইল ল্যাব উদ্বোধন করা হলো। আপাতত হজ ক্যাম্পে কোয়ারেন্টিনে থাকা যাত্রীদের জন্যই এই ভ্রাম্যমাণ ল্যাব কাজ করবে। তবে যেখানে ল্যাব নাই সেখানেও এটি নিয়ে যাওয়া যাবে এবং দ্রুত পরীক্ষা সম্ভব হবে।‘

তিনি জানান, নমুনা দেওয়া ব্যক্তি পরীক্ষার ফলাফল অনলাইনে জানতে পারবেন। জরুরি প্রয়োজনে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং শিল্পাঞ্চলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করবে এই ল্যাব। এখানে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার পরীক্ষা করা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি। এই ভ্রাম্যমাণ ল্যাব বায়ো সেইফটি লেভেল-২ মানসম্পন্ন।.

আশকোনা হজ ক্যাম্পে স্থাপন করা জিন এক্সপার্ট ল্যাবে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের কোভিড-১৯ আছে কি না তা জানতে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হবে বলেও বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা রোগীদের জন্য অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। কিন্তু সব হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন ছিল না। বর্তমানে ৭৮টি নতুন সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপন করা হয়েছে।’

বাংলাদেশে করোনা এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত মাসে মৃত্যুহার একটু বেড়েছে। তবে এখন মৃত্যুহার, সংক্রমণ হার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সুস্থতার হার বেড়েছে। নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে সামাজিক দূর। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আর কেউ অসুস্থ বোধ করলে টেস্ট করে তাকে চিকিৎসা নিতে হবে।‘

দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে অধিকাংশই ষাটোর্ধ্ব মন্তব্য করে তিনি বলেন, ষাটোর্ধ্বদের বেশি সতর্ক থাকতে হবে এবং অসুস্থ হলেই হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।

সূত্র,  বাংলা ট্রিবিউন