দেশে করোনায় আজ ২৪৬ জনের মৃত্যু নতুন শনাক্ত১৫ হাজার ৯৮৯ জন

গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। চট্টগ্রাম বিভাগে মারা গেছেন ৬৪ জন, খুলনা বিভাগে ৩০ এবং রাজশাহীতে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা অন্যান্য বিভাগের।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এই ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ।
এরপর বিভিন্ন সময়ে সংক্রমণ কমবেশি হলেও দুই মাসের বেশি সময় ধরে দেশে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক অবস্থায় পৌঁছেছে। করোনার ডেলটা ধরনের দাপটে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু কয়েক গুণ বেড়েছে। গত জুলাই মাসে দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ১৮২ জনের। প্রায় দেড় বছর ধরে চলা এই মহামারিতে এর আগে কোনো মাসে এত মৃত্যু দেখেনি বাংলাদেশ। এর আগে বেশি মৃত্যু হয়েছিল গত এপ্রিলে ২ হাজার ৪০৪ জনের।
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে গত মাসের প্রথম দুই সপ্তাহ দেশে সর্বাত্মক বিধিনিষেধ পালন করা হয়। এ সময় সব ধরনের অফিসের পাশাপাশি গণপরিবহন চলাচলও বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু ২১ জুলাই ঈদুল আজহা উপলক্ষে এই বিধিনিষেধ আট দিনের জন্য শিথিল করা হয়। ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে আবার দুই সপ্তাহের লকডাউন চলছে।
ঈদের ছুটিতে লাখ লাখ মানুষের শহর থেকে গ্রামে যাওয়া এবং তাদের ফিরে আসায় সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। করোনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত জাতীয় কারিগরি কমিটি ঈদ ঘিরে বিধিনিষেধ শিথিলের সরকারি সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছিল। ঈদের পরে করোনায় মৃত্যু ও রোগী শনাক্ত আগের চেয়ে বেড়েছে।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, রোববার পর্যন্ত বিশ্বে মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৯ কোটি ৮০ লাখ ২২ হাজার ৪১ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ৪২ লাখ ২৩ হাজার ৪৬০ জনের।
বিশ্বজুড়ে করোনা শনাক্তের তালিকায় এখনও প্রথম স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, দ্বিতীয় স্থানে ভারত ও তৃতীয় স্থানে ব্রাজিল।
সংস্থাটির তথ্যমতে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে ব্রাজিলে ৯১০ জনের। এই সময়ে দেশটি রোগী শনাক্তের দিক দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে (৩৭ হাজার ৫৮২ জন)।
একই সময়ে শনাক্তের তালিকায় প্রথম অবস্থানে থাকা ভারতে মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪০ হাজার ১৩৪ জন, মৃত্যু হয়েছে ৪২২ জনের (চতুর্থ)।